অধ্যাত্মবিজ্ঞান, ব্রহ্মবিদ্যা, পরমার্থবিদ্যা, রাজগুহ্যযোগ, গুপ্তবিদ্যা (Isomeric Science), তত্ত্ববিদ্যা(Theosophy) সকলই একপ্রকার শাস্ত্র। এ শাস্ত্র সম্বন্ধে ম্যাডাম ব্ল্যাভিষিক স্বরচিত পুস্তকে কিঞ্চিৎ লিখে যান। এ শাস্ত্র বহুকাল হতে জনসাধারণের নিকট অবরুদ্ধদ্বার, এমন কি, এর অস্তিত্বের বিষয় কেহ অবগত নয়।
মহাত্মাগণের বিশ্বাস, অতিপ্রাচীনকালে বা সত্যযুগের প্রারম্ভে, যখন সুমেরুস্থ দেবভূমিতে স্থূলদেহবিশিষ্ট মানবের পরিবর্ত্তে সূক্ষ্মরূপধারী দেবগণ বিচরণ করেন তখন তাঁদের ভিতর অধ্যাত্মবিজ্ঞান দৈববাণীযোগে সৰ্ব্বপ্রথম প্রকটিত হয়। এই প্রাথমিক শ্রুতি(Primeval revelation) বা বেদ; আধুনিক বেদ ও প্রত্যেক বৈশেষিক ধর্মের ধর্মগ্রন্থ এর নকলমাত্র। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন–
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্।
বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষাকবেহব্রবীৎ।।
এবং পরস্পরাপ্রাপ্তমিমং রাজষয়ো বিদুঃ
স কালেনেহ মহতা যোগো নষ্টঃ পরন্তপ।
স এবায়ং ময়া তেহদ্য যোগঃ প্রোক্তঃ পুরাতনঃ।
ভক্তোহসি মে সখা চেতি রহস্য হ্যেতদুত্তমম্।।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা চতুর্থোঽধ্যায়ঃ- জ্ঞানযোগ।
“আমিই পূৰ্ব্বে এই অবিনাশি যোগশাস্ত্র (অধ্যাত্মবিজ্ঞান) সূৰ্য্যদেবকে বলি, সূৰ্য্যদেব মনুকে, মনু ইক্ষ্বাকুকে বলেন। এই প্রকারে রাজর্ষিগণ পরম্পরাগত অধ্যাত্মবিজ্ঞান অবগত হন। কিন্তু কালক্রমে সেই ৰিজ্ঞান নষ্ট হইয়া যায়। তুমি আমার একান্ত ভক্ত, প্রিয় ও সখা এবং ইহাও অত্যুত্তম রহস্য; অতএব সেই পুরাতন যোগশাস্ত্র আজ আমি তোমায় বলতেছি।”
সুত্র- বৈজ্ঞানিক হিন্দু ধর্ম।
Thursday, April 20, 2017
বৈজ্ঞানিক হিন্দু ধর্ম

Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment