১. পুরুষোত্তম
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
পৃথিবীর শ্রেষ্ট বীর যোদ্ধা
অর্জুনকে ৫১৫০
বছর
আগে কুরুক্ষেত্র
গীতা জ্ঞান
দিয়েছিলেন।
২.গীতা হচ্ছে সমস্ত শাস্ত্রের সার।
এমনকি গীতায় এমন
কিছু
আছে যা অন্যান্য
কোন শাস্ত্রের
পাওয়া যায়না।
যেমন:পঞ্চম
পুরুষার্থ।
৩.মহাভারতের
ভীষ্মপর্বের ২৫-৪২
নং অধ্যায়ের এই
১৮টি অধ্যায়
হলো গীতা বা গীতোপনিষদ।
৪.গীতায় শ্লোক
আছে ৭০০টি,এর
মধ্যে ধৃতরাষ্ট্র ১টি,সন্জয় ৪০
টি,অর্জুন ৮৫ টি ও শ্রীভগবান বলেন
৫৭৪ টি শ্লোক,আর
গীতায় ৯৫৮১
টি সংস্কৃত শব্দ
আছে।
৫.গীতায়
১৮টি অধ্যায়ের
মধ্যে ১ম
ছয়টিকে কর্মষটক,পরের ছয়টিকে
ভক্তিষটক
ও শেষের
ছয়টিকে জ্ঞানষটক
বলা হয়।
৬.গীতা পড়লে ৫টি জিনিস সম্পর্কে
জানা যায়- ঈশ্বর,জীব,প্রকৃতি,কাল ও কর্ম।
৭.যদিও গীতার জ্ঞান
৫১৫০ বছর
আগে বলছিলো কিন্তু
ভগবান চতুর্থ
অধ্যায়ে বলেছেন এই
জ্ঞান
তিনি এর আগেও
বলেছেন,মহাভারতের শান্তিপর্বের
৩৪৮-৩৫২
নং শ্লোকে গীতার
ইতিহাস উল্লেখ
আছে।তার
মানে প্রথমে বলা হয় ১২,০৪,০০,০০০
বছর
আগে মানব সমাজে এই
জ্ঞান ২০,০০,০০০
বছর ধরে বর্তমান
ছিল,কিন্তু কালের
বিবর্তনে তা হারিয়ে গেলে পূনরায় তা
অর্জুনকে দেন।
৮.ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে মাত্র
৪০মিনিটে গীতার
জ্ঞান দেন ।
Saturday, June 10, 2017
গীতার কিছু পরম পবিত্র জ্ঞান

মুর্তি পূজো কি?-দেখে নিন শ্রীল প্রভুপাদের অকাট্য উত্তর
ইসকন গুরু শ্রীল প্রভূপাদকে একবার এক
মুসলিম ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করেছিল,
"হিন্দুরা যে মাটির মুর্তি পূজো করে
সেখানে যে ভগবান আছেন , প্রভূপাদ কি
তা দেখাতে পারবেন?''
উত্তরে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন, "অবশ্যই পারব।।
তবে আপনাকে আগে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহন করতে হবে,
এবং শাস্ত্রানুসারে চলতে হবে।। কারন আপনার
পাপের শরীর এবং মাটির চোখ দিয়ে
আপনিতো কেবল মাটিই দেখবেন।।।
মাটিকে তো পোড়া মাটি করতে হবে,
তাই নয়কি? সারকথা হল- দুরের অস্পষ্ট কিছু
দেখার জন্য যেমন দুরবীক্ষন যন্ত্রের
প্রয়োজন হয়, তেমনি ভগবানকে দেখার
জন্য প্রয়োজন সনাতন শাস্ত্র, এবং শুদ্ধ ভক্তি''।
জয়_নৃসিংহদেব।
জয় শ্রী কৃষ্ণ।
তারপরও কিছু মানুষ আছে যারা
ইসকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা
চালাচ্ছে।
আমি সবাইকে বলতে চাই, "ইসকন আপনার
পছন্দ নাও হতে পারে তাতে সমস্যা নেই,
কিন্তু ইসকনের সফলতা দেখে
আপনি হিংসা থেকে মুক্ত থাকুন।
জয় শ্রী কৃষ্ণ।।

Thursday, June 8, 2017
নারদ পাঞ্চরাত্রে সৌভাগ্যবতী,ঘৃতব তী,পয়স্বতী রাধাদেবীর মহিমা কথন!
তত্ত্বঃ
পঞ্চরাত্র হল সংস্কৃত ভাষার বৈষ্ণব আগম
শাস্ত্র। 'পঞ্চরাত্র' কথাটির আক্ষরিক অর্থ
'পাঁচ রাত্রি।(পঞ্চ :পাঁচ,
রাত্র : রাত্রি)।এই নামটির একাধিক
ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে।ঋগবেদের শতপথ
ব্রাহ্মণ (১২.৬) গ্রন্থেও এই শব্দটি পাওয়া
যায়।
ভগবান বাসুদেবকে স্বয়ং এ গ্রন্হের প্রণয়ন
কর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
অভিমতঃ
শ্রী রামানুজ,শ্রী মধ্বাচার্য ও শ্রী জীব
গোস্বামী নারদ পাঞ্চরাত্রকে বেদের
সারাতিসার হিসেবে মন্তব্য করেছে, এটি
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ।
বিষয়ঃ
শ্রীরাধিকার মাহাত্ম্যকথা এবং তিনি
সর্বোত্তম দেবী স্বরুপ।
আলোচনাঃ
//লক্ষী সরস্বতী দূর্গা সাবিত্রী
# রাধিকা # পরা
ভক্ত্যা নমস্তি যং শশ্বত্তং নমামি
পরাৎপরং।
(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/২)
অনুবাদঃ
শ্রীরাধিকা সবদেবী থেকে পরম
সর্বশ্রেষ্ঠ।
//পুরা কৃষ্ণো হি গোলোকে শতশৃঙ্গ
পর্বতে।।
সুপণ্যে বিরজাতীরে বটমূলে মনোহরে।
পুরতো রাধিকাশ্চ ব্রহ্মাণং
কমলোদ্ভবং।।(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৩৫,৩৬)
অনুবাদঃ
পূর্বকালে শ্রীকৃষ্ণ গোলোকধামে শতশৃঙ্গ
পর্বতে সুপবিত্র বিরজাতীরে মনোহর
বটমূলে শ্রীরাধিকার সম্মূখে কমলযোনী
ব্রহ্মাকে বেদের অভিমত সার পাঞ্চরাত্র
বলেছিলেন।
//প্রণম্য রাধিকাং কৃষ্ণং প্রযযৌ
শিবমন্দিরং
ভক্ত্যা তং পূজয়ামাস শঙ্করঃ পরমাদরং।।
(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৩৮)
অনুবাদঃ
শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণকে প্রণতিপূর্বক
ব্রহ্মাদেব শিবমন্দিরে গমন
করলেন,তাহাতে ভক্তি ও পরম আদরে
শঙ্করদেব তাহাঁর পূজা করিয়াছিলেন।
//সৌভাগ্যাসু সুন্দরীসু রাধা কৃষ্ণপিয়াসু
চ।।(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৭৫)
অনুবাদঃ
সৌভাগ্যবতী, পরমাসুন্দরীদের মধ্যে
কৃষ্ণপ্রিয়া শ্রীরাধাই পরমশ্রেষ্ঠ।
লিখেছেন-------সজীব তালুকদার মন।।

পা ছুঁয়ে প্রণামের পিছনেও নাকি রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ!
বড়দের পা-এ হাত দিয়ে প্রণাম শুধু পরম্পরাই নয়, এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ৷ যার মধ্যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, এই তিনটি বিষয়ই রয়েছে৷ পা ছোঁয়ার জন্য আমাদের শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে যায়, তারপর ডান হাত দিয়ে বাম পা এবং বাম হাত দিয়ে ডান পা ছোঁয়া হয়৷ এই প্রক্রিয়াটিতে বলে এনার্জি সাইকেল সম্পূর্ণ হয়৷ বৈজ্ঞানিক মতে, আমাদের শরীরে মাথার দিক দিয়ে এনার্জির প্রবেশ করে পা-এর দিকে এর প্রবাহ হয়৷
বিজ্ঞান অনুযায়ী, মাথা কে উত্তর মেরু এবং পা-কে দক্ষিণ মেরু মনে করা হয়৷ বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণামের সময় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি চক্র সম্পূর্ণ হয়৷ মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম অনুযায়ী, ঝোঁকার সময় শরীরের দক্ষিণ মেরু অর্থাৎ পা-এ এনার্জির কেন্দ্র তৈরি হয়৷ এই প্রণাম থেকে ফের নতুন এনার্জি তৈরি হয়৷ তাই, বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণামের কথা বলা হয়ে থাকে অনেকসময় যাতে শরীরে পজিটিভ এনার্জি তৈরি হতে পারে৷
সূত্রঃ- https://www.kolkata24x7.com/know-these-scientific-reasons-behind-in-feet-touching-process.html
