তত্ত্বঃ
পঞ্চরাত্র হল সংস্কৃত ভাষার বৈষ্ণব আগম
শাস্ত্র। 'পঞ্চরাত্র' কথাটির আক্ষরিক অর্থ
'পাঁচ রাত্রি।(পঞ্চ :পাঁচ,
রাত্র : রাত্রি)।এই নামটির একাধিক
ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে।ঋগবেদের শতপথ
ব্রাহ্মণ (১২.৬) গ্রন্থেও এই শব্দটি পাওয়া
যায়।
ভগবান বাসুদেবকে স্বয়ং এ গ্রন্হের প্রণয়ন
কর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
অভিমতঃ
শ্রী রামানুজ,শ্রী মধ্বাচার্য ও শ্রী জীব
গোস্বামী নারদ পাঞ্চরাত্রকে বেদের
সারাতিসার হিসেবে মন্তব্য করেছে, এটি
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্হ।
বিষয়ঃ
শ্রীরাধিকার মাহাত্ম্যকথা এবং তিনি
সর্বোত্তম দেবী স্বরুপ।
আলোচনাঃ
//লক্ষী সরস্বতী দূর্গা সাবিত্রী
# রাধিকা # পরা
ভক্ত্যা নমস্তি যং শশ্বত্তং নমামি
পরাৎপরং।
(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/২)
অনুবাদঃ
শ্রীরাধিকা সবদেবী থেকে পরম
সর্বশ্রেষ্ঠ।
//পুরা কৃষ্ণো হি গোলোকে শতশৃঙ্গ
পর্বতে।।
সুপণ্যে বিরজাতীরে বটমূলে মনোহরে।
পুরতো রাধিকাশ্চ ব্রহ্মাণং
কমলোদ্ভবং।।(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৩৫,৩৬)
অনুবাদঃ
পূর্বকালে শ্রীকৃষ্ণ গোলোকধামে শতশৃঙ্গ
পর্বতে সুপবিত্র বিরজাতীরে মনোহর
বটমূলে শ্রীরাধিকার সম্মূখে কমলযোনী
ব্রহ্মাকে বেদের অভিমত সার পাঞ্চরাত্র
বলেছিলেন।
//প্রণম্য রাধিকাং কৃষ্ণং প্রযযৌ
শিবমন্দিরং
ভক্ত্যা তং পূজয়ামাস শঙ্করঃ পরমাদরং।।
(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৩৮)
অনুবাদঃ
শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণকে প্রণতিপূর্বক
ব্রহ্মাদেব শিবমন্দিরে গমন
করলেন,তাহাতে ভক্তি ও পরম আদরে
শঙ্করদেব তাহাঁর পূজা করিয়াছিলেন।
//সৌভাগ্যাসু সুন্দরীসু রাধা কৃষ্ণপিয়াসু
চ।।(নারদ পাঞ্চরাত্র ১/৭৫)
অনুবাদঃ
সৌভাগ্যবতী, পরমাসুন্দরীদের মধ্যে
কৃষ্ণপ্রিয়া শ্রীরাধাই পরমশ্রেষ্ঠ।
লিখেছেন-------সজীব তালুকদার মন।।
No comments:
Post a Comment