Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Wednesday, November 21, 2018

মাংস তো মাংসই হয়, গরুর হউক, আর ছাগলের, বা অন্য কোন প্রানীর........। তাহলে হিন্দুরা জানোয়ারের প্রতি আলাদা আলাদা ব্যবহার করে, কেন নাটক করে যে, ছাগল কাটো, কিন্তু গরু কেটো না। এটা কি তাদের মূর্খতা নয় ???

উত্তর - ০১
একদম ঠিক বলেছেন আপনি। পুরুষ
তো পুরুষই হয়..... ভাই হউক, বা স্বামী, বা পিতা, বা
পুত্র।
তাহলে চারজনের সাথে আপনি আলাদা আলাদা ব্যবহার
কেন করেন ???
সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য, বা যৌন সুখ পাবার জন্য কি
স্বামীর প্রয়োজনীয়তা আছে ??? ভাই, পুত্র, বা
পিতার সাথেও কি এই একই ব্যবহার করা যেতে পারে,
যা আপনি আপনার স্বামীর সঙ্গে করেন।
এটা আপনার মূর্খতা আর আপনার নাটক নয়....???
উত্তর - ০২
ঘরে আপনি আপনার বাচ্চা আর আপনার স্বামী কে
খাবার জন্য দুধ নিশ্চয় দেন, বা চা কফি তো তৈরি
করেন.....
নিশ্চিত ঐ দুধ গাভী বা মহিষেরই হবে। নাকি আপনি
কুকুরের দুধ দিতে পারেন, বা কুকুরের দুধেরও চা
কফি বানাতে পারেন....???
দুধ তো দুধই, যে কোন প্রানীরই হউক....!!!
এটা আপনাদের মূর্খতা আর আপনাদের নাটক নয়....???
.
প্রশ্ন মাংসের নয়...... আস্থা আর ভাবনার...। যে
ভাবে ভাই, স্বামী, পুত্র, পুত্রী, বোন, মাঁ ইত্যাদি
সম্পর্কে পুরুষদের-মহিলাদের সাথে আমাদের
সম্বন্ধ মাত্র একজন পুরুষ বা মাত্র একজন স্ত্রী
হওয়ার আধারে না চলে ভাবনা আর আস্থার আধারে
সঞ্চালিত হয়..... ঠিক একই প্রকারে গরু, ছাগল বা অন্য
পশুও আমাদের ভাবনা আর আস্থার আধারে ব্যবহৃত
হয়।
.
জবাব - ০৩
এক ইংরেজ স্বামী বিবেকানন্দ কে জিজ্ঞেস
করল :- সবচেয়ে ভাল দুধ কোন জানোয়ারের
হয় ???
স্বামীজি :- মহিষের।
ইংরেজ :- কিন্তু আপনারা ভারতীয়রা তো গরুর দুধ
কে সর্বশ্রেষ্ঠ মানেন......???
স্বামীজি বললেন :- আপনি তো "দুধের"
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন সাহেব,
"অমৃতের" সম্পর্কে তো নয়। আর দ্বিতীয়ত,
আপনি জানোয়ারের সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেছেন...... গাভী তো আমাদের মাতা, কোন
জানোয়ার নয়।
.
.
এই বিষয়ে আমার একটা প্রশ্ন :-
"Save tiger" যারা বলেন তারা সমাজসেবী হয় আর
"Save Dogs" যারা বলেন তারা পশুপ্রেমী....
তাহলে "Save Cow" যারা বলে তারা কট্টরপন্থী
কিভাবে হয়ে যায়.....????

তিলকের উৎপত্তি কিভাবে ?

★ তিলকে কে কোথায় বাস করেন ?
★ শ্রীকৃষ্ণ কেন তিলক পরেন ?
★ শ্রীরাধা কেন তিলক পরেন না ?
★ তিলক ছাড়া সন্ধ্যা-বন্দনা হবে ?
★ কেন যম পালায় তিলক দেখে ?

যজ্ঞো দানং তপো হোমঃ স্বাধ্যায়ঃ পিতৃতর্পণম্।
ব্যর্থং ভব তত্ সর্বমূর্দ্ধপূনড্রং বিনাকৃতং ॥
- পদ্ম পুরাণ
অর্থাৎ, তিলক ব্যতিরেকে যজ্ঞ, দান, তপস্যা, হোম, বেদ শাস্ত্রাদি পাঠ, পিতৃতর্পণাদি ও শুভ কর্ম যাকিছু করা হয় সে সমুদয় বৃথা হইয়া থাকে।

[এখানে অনেকেই কিন্তু তিলকের ফোঁটা দেন সেটা ঠিক নয়। উর্দ্ধপূন্ড্র করে অর্থাৎ গৌড়ীয় বৈষ্ণব যেভাবে পরেন সেইভাবে দিতে হবে।]

তিলকের মহিমা

কপালে তিলক দেখে মনে হয় দেবী,
তা নাহলে শুধু মনে হয় জল-ছবি।
তিলক আর ত্রি-লোকে গোবিন্দের বাস,
ভক্তের মাধ্যমে তাঁর মহিমা প্রকাশ।
তিলক দেখে মুখে আইসে কৃষ্ণ নাম,
মৃত্যুকালে নরকে নিতে পারেনা যম।
শাস্ত্রে আছে তিলকের কত যে মহিমা,
তিলকের মধ্যে বিষ্ণু, ডানে শিব বামে ব্রহ্মা।
তিলক না থাকে তবে কপাল শ্মষাণ,
সর্বকার্যে তিলক করে শুভ শক্তিদান।
শুভ কার্যে কপালে যদি থাকে তিলক,
সর্বলোকে গুন গায় গতি উর্ধ্ব-লোক।
তিলকের উৎপত্তি হয় গোপী পদরেনু,
গোবিন্দের কপালে তিলক বাজায় বেনু।
তিলক থাকে গোপীদের চরণ কমলে,
ভক্তের মহিমা বাড়াতে কৃষ্ণের কপালে।
গোপী পদরেনু তাই রাধার কপালে তিলক নাই,
তিলক বিনে গুরু-কৃষ্ণ সেবা বিফলে গেল ভাই।

[একবার কিছু ভক্ত সন্ধ্যা আহ্নিক করে মহাপ্রভুকে প্রণাম নিবেদন করলেন। তখন মহাপ্রভু জানতে চাইলেন সন্ধ্যা আহ্নিক করেছ ? ভক্তেরা হাঁ বলেন। প্রভু তখন বললেন, তিলক ব্যতিরেকে সন্ধ্যা আহ্নিক হয়নি যাও তিলক করে পূনরায় সন্ধ্যা আহ্নিক করে আস।]

হরে কৃষ্ণ।।