★ তিলকে কে কোথায় বাস করেন ?
★ শ্রীকৃষ্ণ কেন তিলক পরেন ?
★ শ্রীরাধা কেন তিলক পরেন না ?
★ তিলক ছাড়া সন্ধ্যা-বন্দনা হবে ?
★ কেন যম পালায় তিলক দেখে ?
যজ্ঞো দানং তপো হোমঃ স্বাধ্যায়ঃ পিতৃতর্পণম্।
ব্যর্থং ভব তত্ সর্বমূর্দ্ধপূনড্রং বিনাকৃতং ॥
- পদ্ম পুরাণ
অর্থাৎ, তিলক ব্যতিরেকে যজ্ঞ, দান, তপস্যা, হোম, বেদ শাস্ত্রাদি পাঠ, পিতৃতর্পণাদি ও শুভ কর্ম যাকিছু করা হয় সে সমুদয় বৃথা হইয়া থাকে।
[এখানে অনেকেই কিন্তু তিলকের ফোঁটা দেন সেটা ঠিক নয়। উর্দ্ধপূন্ড্র করে অর্থাৎ গৌড়ীয় বৈষ্ণব যেভাবে পরেন সেইভাবে দিতে হবে।]
তিলকের মহিমা
কপালে তিলক দেখে মনে হয় দেবী,
তা নাহলে শুধু মনে হয় জল-ছবি।
তিলক আর ত্রি-লোকে গোবিন্দের বাস,
ভক্তের মাধ্যমে তাঁর মহিমা প্রকাশ।
তিলক দেখে মুখে আইসে কৃষ্ণ নাম,
মৃত্যুকালে নরকে নিতে পারেনা যম।
শাস্ত্রে আছে তিলকের কত যে মহিমা,
তিলকের মধ্যে বিষ্ণু, ডানে শিব বামে ব্রহ্মা।
তিলক না থাকে তবে কপাল শ্মষাণ,
সর্বকার্যে তিলক করে শুভ শক্তিদান।
শুভ কার্যে কপালে যদি থাকে তিলক,
সর্বলোকে গুন গায় গতি উর্ধ্ব-লোক।
তিলকের উৎপত্তি হয় গোপী পদরেনু,
গোবিন্দের কপালে তিলক বাজায় বেনু।
তিলক থাকে গোপীদের চরণ কমলে,
ভক্তের মহিমা বাড়াতে কৃষ্ণের কপালে।
গোপী পদরেনু তাই রাধার কপালে তিলক নাই,
তিলক বিনে গুরু-কৃষ্ণ সেবা বিফলে গেল ভাই।
[একবার কিছু ভক্ত সন্ধ্যা আহ্নিক করে মহাপ্রভুকে প্রণাম নিবেদন করলেন। তখন মহাপ্রভু জানতে চাইলেন সন্ধ্যা আহ্নিক করেছ ? ভক্তেরা হাঁ বলেন। প্রভু তখন বললেন, তিলক ব্যতিরেকে সন্ধ্যা আহ্নিক হয়নি যাও তিলক করে পূনরায় সন্ধ্যা আহ্নিক করে আস।]
হরে কৃষ্ণ।।
No comments:
Post a Comment