Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Friday, June 16, 2017

প্রশ্ন: হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র নামাপরাধ হীন হয়ে কিভাবে জপ করবেন ?

উওর :জপ মালায় ১০৮টি গুটি থাকে,একদিকে বড়গুটিঅন্য দিকে ছোটগুটি থাকে। বড়গুটি এবং ছোটগুটিরসংযোগ স্থলে একটি ঘটেরমতো গুটি থাকেযাকে মেরুগুটি বলা হয়। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ শুরুকরার পূর্বে ডানহাত দিয়ে মেরুগুটি ধরে তিনবারপঞ্চতত্ত্ব মন্ত্র(জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈতগদাধরশ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ) জপ করতে হয়।তারপর তর্জনী অঙ্গুলী স্পর্শ না করে মধ্যমা ওবৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে বড় দিকের প্রথম গুটিটি ধরেহরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র "হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরে হরে,হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরেহরে" সুষ্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে জপকরতে হয়,যাতে নিজের কানে শোনা যায় । এরপর দ্বিতীয়গুটিটা বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে ধরে জপ করতে হবে।মনে রাখবেন একটি গুটিতে যতক্ষণ পুরো হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ না হচ্ছে ততক্ষণ দ্বিতীয়গুটিতে এগোবেন না। এই ভাবে জপ করতেকরতে আপনি মেরুগুটির পাশ্বে ছোট গুটির কাছেপৌঁছবেন।এখনআপনার এক মালা জপ হয়ে গেল।মনে রাখবেন মেরুগুটি টপকে গেলে হবে না ।পুনরায় যখন জপ শুরু করবেন তখন পঞ্চতত্ব মন্ত্রজপ করে মালাটা ঘুরিয়ে নিয়ে ছোটগুটিরদিকটি সামনে আনতে হবে এবং ছোট দিকেরপ্রথম গুটিটি ধরে পূর্বের মতো হরেকৃষ্ণমহামন্ত্র জপ করতে করতে ছোট থেকেবড়গুটির দিকে এগোবেন ।এইভাবে আপনি প্রতিদিনদুই, চার, আট দশ অথবা ষোল এই রকম জোড়সংখ্যক মালা জপ করতে পারেন কিন্তু এক তিন পাঁচ এইরকম বিজোড় সংখ্যক মালা জপ করা যাবে না। চার বারষোল মালা জপ করলে এক লক্ষ বার হরিনাম করা হয়।

প্রশ্নঃ কতবার মালা জপ করলে কৃষ্ণ দর্শণ মিলবে? আসলেই কি তাই।

উত্তরঃ- একবার মুরারী গুপ্ত মহাপ্রভুকে জিজ্ঞেশ করেছিলেন- হে প্রভু আপনি আমাকে বলুন? কতবার কৃষ্ণ নাম জপ করলে শ্রীকৃষ্ণের দেখা পাওয়া যাবে?মহাপ্রভু বলেছিলেন- যদি এমন কোনো সংখ্যা থাকতো তবে সবাই তো সেই সংখ্যা অব্দি জপ করে প্রাণ গোবিন্দের দর্শন পেত। একবার আকুল হয়ে ব্যাকুলভাবেভক্তিভরে ডাকলে প্রাণ গোবিন্দ আমার একবারেই দেখা দেয়।জয় আমার প্রাণ গোবিন্দের জয়।সারাদিন মালা জপে কোনো লাভ নেই যদি না সেই জপের মাঝে আকুলতা, ব্যকুলতা, প্রেম, ভালোবাসা ও ভক্তি না থাকে।হে আমার প্রাণোধন কৃষ্ণ, তুমি আমার হৃদয়ে ভক্তির সঞ্চার করো।।

Thursday, June 15, 2017

ভক্তের ভগবান

কোন এক গ্রামে এক গরীব ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তিনি ছিলেন খুবই ধর্মপারায়ণ। তার একটি পুত্র সন্তান ছিল, তার নাম ছিল বিল্বমঙ্গল । বিল্বমঙ্গল খুবই অল্প বয়সে তার মাকে হারায়।

ব্রাহ্মণটি বিল্বমঙ্গলকে সুশিক্ষিত করার জন্য গুরুকুলে এক পন্ডিতের অধীনে রেখে আসে।বিল্বমঙ্গল সেখানে কিছু খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পরে পড়াশোনা না করে সারাদিন শুধু খেলাধূলা করে বেড়াত। আর এই কথা ব্রাহ্মণের কানে গেলে ব্রাহ্মণ খুব কষ্ট পেল। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট খুব কান্না -কাটি করতে লাগলেন আর বললেন, "হা কৃষ্ণ!! তুমি তো অন্তর্জামী, তুমি সবই জানো, তুমি একটু কৃপা কর বিল্বমঙ্গলকে। ও জেন তোমার চরনে ঠাঁই পায়।"

এইভাবে দেখতে দেখতে বিল্বমঙ্গল কৈশোর পাড় করে যৌবনে পা দিল। এখন সে পিতৃ গৃহে থাকে। ব্রাহ্মণ কৃষ্ণভক্ত হলেও বিল্বমঙ্গল মোটেই কৃষ্ণভক্ত ছিল না।এমন কি সে কোনদিন কৃষ্ণনাম পর্যন্ত নিত না। সে বন্ধুদের সাথে সবসময় আড্ডা দিয়ে বেড়াত।আর এদিকে ব্রাহ্মণ সারাদিন শুধু কৃষ্ণের কাছে কাঁদতে থাকতো আর বলতেন, "ভগবান! তুমি বিল্বমঙ্গলকে সুমতি দেও।"

একদিন , বিল্বমঙ্গল নদীর পাড়ে বসে ছিল। এমন সময় এক অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে নদীতে জল নিতে আসে। যাকে দেখে বিল্বমঙ্গল এর খুব ভালো লাগে। বিল্বমঙ্গল প্রতিদিন ঠিক ঐ সময়ে নদীর পাড়ে এসে বসত ঐ সুন্দরী রমনীকে দেখার জন্য। সে আস্তে আস্তে তাকে ভালবাসতে শুরু করল। একদিন মেয়েটির কাছে জানতে চায় তার নাম কি? আর সে কোথায় থাকে? মেয়েটি জানায় তার নাম চিন্তামনি এবং সে নদীর ওপারে বাস করে। আসলে চিন্তামনি ছিলো পতিতালয়ের একজন ব্যেশ্যা। তবুও বিল্বমঙ্গলকে তার ভালো লাগত।তাই বিল্বমঙ্গল প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে চিন্তামনির সাথে দেখা করার জন্য নদী পাড় হয়ে তার বাড়ি যেত।

এভাবে দিন যায়, মাস যায়।এখন বিল্বমঙ্গল এর শয়নে স্বপনে শুধু চিন্তামনি আর চিন্তামনি।এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সারাদিন রাত বিল্বমঙ্গল শুধু চিন্তামনির নাম জপ করতে থাকে।আর এদিকে ব্রাহ্মণ তার সন্তানের চিন্তায় কৃষ্ণকে ডাকতে ডাকতে মারা যায়। বাবার মৃত্যুতে এতটুকু দুঃখ পেল না বিল্বমঙ্গল। বাবার মৃতদেহ শশ্মানে দাহ করেই সে ছুটলো চিন্তামনির সাথে দেখা করতে।

চিন্তামনি, বিল্বমঙ্গলকে ঔ গুরুদশা অবস্থায় তাকে দেখে খুব বকাবকি করল আর বলল, " তুমি কি গো ঠাকুর? আজ তোমার বাবা মারা গেছে, তবুও তুমি আমাকে দেখতে চল এসছো?" বিল্বমঙ্গল বলল, "আমি যে তোমাকে একদিন না দেখে থাকতে পারি না। আমি যে তোমাকে খুব ভালোবাসি।" তবুও চিন্তামনি দরজা খুলল না। এভাবে বিল্বমঙ্গল প্রতিদিন রাতে চিন্তামনিকে একটিবার দেখার জন্য আসতো। আর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চিন্তামনিকে একটু দেখে চলে যেত।

দেখতে দেখতে বিল্বমঙ্গল এর বাবার ঘাটকাজ এগিয়ে আসল। বাবার ঘাটকাজের আগের রাতে চিন্তামনির সাথে বিল্বমঙ্গল দেখা করতে গেলে চিন্তামনি তাকে বলল, "দেখ ঠাকুর! কাল তোমার বাবার কাজ, কাল তুমি আসবে না।" বিল্বমঙ্গল বলল, "আমি তোমাকে না দেখে থাকতে পারবনা।" চিন্তামনি বলল, "না না, তুমি এলে আমি জানলাটাও খুলবো না। তুমি এখন চলে যাও।"

পরদিন, বিল্বমঙ্গল কোনরকম বাবার কাজটি শেরে চলল চিন্তামনির সাথে দেখা করতে। রাতটি ছিল অমাবশ্যার রাত সাথে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তার মধ্যে বিল্বমঙ্গল চিন্তামনির সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। কখনো কাঁদায় পড়ে যাচ্ছে আবার কখনো কাঁটায় পা আটকে যাচ্ছে। কোনদিকেই বিল্বমঙ্গল এর লক্ষ্য নেই। সে কোনভাবে নদীর ঘাটে এসে দেখল ঘাটে কোনো নৌকা নেই। মানুষ বিপদে পড়লে ভগবানকে স্মরণ করা আর বিল্বমঙ্গল বিপদে চিন্তামনিকে স্মরণ করছে। সে জোড়ে জোড়ে "চিন্তা" "চিন্তা" বলে চিৎকার করতে লাগল আর কাঁদতে লাগল। বিল্বমঙ্গল বলল, "ওগো চিন্তা, তুমি আমাকে নদী পাড় করে নেও। আমি তোমার একটু দেখব।" সে এই কথা বার বার বলছে আর কাঁদছে।

হঠাৎ করে সে দেখতে পেল নদীতে একটি মরা কাঠ ভেসে আসছে। এই দেখে বিল্বমঙ্গল মনে মনে ভাবল, "চিন্তামনি, বুঝি তার জন্য এই মরা গাছটি পাঠিয়েছে।" সে কোনো মতে ঐ মরা গাছটি ধরে সাঁতার কেটে নদী পাড় হলো। চিন্তামনির বাড়ির সামনে একটা উঁচু প্রাচীর ছিলো। বিল্বমঙ্গল এর পক্ষে সম্ভব না প্রাচীরটি পাড় করে চিন্তামনির সাথে দেখা করা। তখন সে আবার চিন্তার নাম স্মরণ করতে থাকল। আর বলল, "ওগো চিন্তা, আমি পারছি না প্রাচীর পাড় করতে। তুমি আমাকে পাূ করে নেও।" ঠিক তখনই বিল্বমঙ্গল দেখতে পেল প্রাচীরের ওপর থেকে একটি দড়ি ঝুলছে। সে মনে মনে ভাবল, "চিন্তামনি বুঝি তার জন্য এই দড়ি রেখেছে প্রাচীরটি পাড় হবার জন্য।" বিল্বমঙ্গল কোনভাবে সেই দড়িটি ধরে প্রাচীরটি পাড় করে চিন্তামনির বাড়িতে পৌছাল।

"চিন্তা ওচিন্তা!" বলে ডাকতে থাকল বিল্বমঙ্গল, চিন্তামনির বাড়ির সামনে গিয়ে। চিন্তামনি বিল্বমঙ্গল এর কন্ঠস্বর শুনে দরজা খুলে বলল, "তুমি কি মানুষ ঠাকুর? এই ঝড় জলের রাতে তুমি চলে আসছ আমাকে দেখতে!!! তুমি কি করে প্রাচীরটি পাড় করলে?"
বিল্বমঙ্গল বলল, "কেন? তুমিই তো প্রাচীরের ওপরে আমার জন্য দড়ি ঝুলিয়ে রেখেছ, আমি তা ধরে পাড় হয়েছি।"
চিন্তামনি বলল, "কই? আমি তো কোথাও দড়ি রাখিনি। চলতো দেখি! তুমি কি ধরে প্রাচীর পাড় হয়েছ?" তখন বিল্বমঙ্গল চিন্তামনিকে প্রাচীরের নিকট নিয়ে গেল। চিন্তামনিকে দড়িটি দেখিয়ে বলল বিল্বমঙ্গল বলল, "ঐ তো দড়ি।" চিন্তামনি চোখ বড় বড় করে বলল, "ওগো ঠাকুর তুমি একি ধরে পাড় হয়েছ? এতো একটি অজগর সাপের লেজ। তুমি কি চোখের মাথা খেয়েছ?"

এরপর চিন্তামনি বিল্বমঙ্গলকে বলল, "তুমি কি করে নদী পাড় হলে?" বিল্বমঙ্গল বলল, "কেন!! তুমি তো আমার জন্য একটি মরা গাছ পাঠিয়ে দিয়েছ। আমি তা ধরে সাঁতরে নদী পাড় হয়েছি।" চিন্তামনি বলল, "কই আমি তো কিছু পাঠাইনি তোমার নদী পাড় হবার জন্য। চলতো নদীর পাড়ে, দেখি তুমি কি ধরে নদী পাড় হয়েছ?" এরপর তারা নদীর পাড়ে গেল আর দেখতে পেল, বিল্বমঙ্গল যেটিকে ধরে নদী পাড় হল ওটি কোন মরা গাছ ছিল না, ওটি ছিলো একটি মানুষের মৃতদেহ। চিন্তামনি এই দেখে ভয়ে আঁতকে উঠলো। সে গোপালকে বলল, "তুমি কি পাগল ঠাকুর? মরা গাছ আর মৃতদেহের মধ্যে তফাত দেখছো না?" আরও বলল, "ঠাকুর! তুমি আমাকে যতটা ভালবাস তা যদি ‪#‎গোবিন্দকে‬ ভালবাসতে তাহলে তুমি এতোদিনে তাঁকে পেয়ে যেতে। আমি জানি তুমি গোবিন্দকে আমার মতো করে ভালবাসলে তুমি নিশ্চিত গোবিন্দের দর্শন পাবেই। আার ঠাকুর! কাল থেকে তুমি আর তোমার মুখ আমাকে দেখাবে না। আর যদি তুমি আমাকে দেখতে আস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।"এই বলে চিন্তামনি বিল্বমঙ্গলকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল।আর তাকে একটা গোবিন্দর মূর্তি দিয়ে বলল, "তুমি যতদিন গোবিন্দ দর্শন না পাবে ততদিন তুমি বৃন্দাবনে থাকবে আর আমাকে দেখতে আসবে না।"

এরপর বিল্বমঙ্গল, গোবিন্দর মূর্তিটি সাথে করে বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। সে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ছে আর "হা গোবিন্দ, প্রাণ গোবিন্দ " বলে কাঁদছে ... আর রাস্তায় যাকে পায় তাকেই বলে, "কি করে আমি বৃন্দাবন যেতে পারি? কোন রাস্তায় গেলে বৃন্দাবনে যেতে পারি?" বিল্বমঙ্গল রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখতে পেল এক সাধুকে। সাধুকে বিল্বমঙ্গল বলল, "বাবা কি করে আমি গোবিন্দর দর্শন পাব? আমাকে তুমি দীক্ষা দান করুণ।" তখন সাধু বলল, "তোমার দীক্ষা তো হয়ে গেছে। চিন্তামনি তোমাকে দীক্ষা দিয়ে দিয়েছে।"

এভাবে, বিল্বমঙ্গল নৃত্য করছে আর গোবিন্দর নাম করছে। সে একটি নদীর পাড় দিয়ে যাচ্ছিল কীর্ত্তন করতে করতে। হঠাৎ এক সুন্দরী রমনীকে দেখে থমকে দাঁড়াল। তাকে ঠিক চিন্তামনির মতো দেখতে। তাই সে তার পিছন পিছন তার বাড়ি পর্যন্ত চলে গেল। ঐ রমনী ছিলো এক বণিকের স্ত্রী।

বণিক বিল্বমঙ্গল দেখে বলল, "বাবা! আমি ধণ্য আপনার মতো একজন বৈষ্ণব আমার বাড়িতে পদধূলি দেওয়ার জন্য। বলুন আমি কি করলে আপনি খুশি হবেন? " তখন বিল্বমঙ্গল বলল, "তোমাকে বৈষ্ণব সেবা দিতে হবে। তুমি তো জান বৈষ্ণবকে ভজন করালে গৃহস্থ্যের কল্যাণ হয়। তাই আজ আমি তোমার গৃহে সেবা করব।" বণিক তো মহা খুশি। সে ঘরে ভিতরে গিয়ে তার স্ত্রীকে বলল, "শোন! গৃহস্থে বৈষ্ণব এসছে, তার সেবার ব্যবস্থা করো। তুমি তার জন্য রান্নার করো।"

বণিকের স্ত্রী তার জন্য রান্না করল।আর বিল্বমঙ্গলকে খুব আদর যত্ন করে ভজন করাল। বিল্বমঙ্গল পেট ভরে খেয়ে খুব খুশি হলেন। তখন সে বণিককে ডাকলো আর বলল, "ওহে বণিক! তুমি তো বৈষ্ণব সেবা করালে তা এবার ভজন দক্ষিণা দেও।" বণিক বলল, "বলেন বাবা! আপনাকে কি দক্ষিণা দিলে খুশি হবেন?" তখন বিল্বমঙ্গল বলল, "বণিক! তুমি আমাকে কথা দাও আমি যা চাইবো তাই তুমি দেবে?" বণিক বলল, "কথা দিলাম বাবা। আপনি যা চাইবেন আমি তাই দেব।" তখন বিল্বমঙ্গল বলল, " আজ মধ্যরাতে তোমার স্ত্রীকে সুসজ্জিত করে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবে।" এই কথা শুনে বণিক বলল, "একি আপনি চাইছেন বাবা? আপনি এছাড়া আর যা চাইবেন আমি তাই দেব। আমার স্ত্রীকে আপনার নিকট পাঠাতে পারবো না। আমাকে ক্ষমা করুণ বাবা।" বিল্বমঙ্গল সব শুনে বলল, "বণিক! তুমি আমাকে কথা দিয়েছ। তুমি যদি তোমার কথা তুমি না রাখ তাহলে কিন্তু তোমার ধর্ম নষ্ট হবে।"

বণিক খুব চিন্তিত হয়ে তার স্ত্রীর নিকট গিয়ে সব খুলে বলল। বণিকের স্ত্রী বলল, "স্বামী! আমি এটা পারব না। আপনি আমাকে মাফ করুণ।" তখন বণিক বলল, "দেখ! তুমি না গেলে আমাদের ধর্ম নষ্ট হবে। আমাদের সারাজীবনের সঞ্চিত পূণ্য নষ্ট হয়ে যাবে। আমি তোমাকে আদেশ করছি তুমি তার কাছে আজ মধ্যরাতে যাবে। আমি তোমায় নিজ হাতে সাজিয়ে দেব।" বণিকের স্ত্রী ছিলেন পতিব্রতা বউ। স্বামী যা বলেন তাই মানিয়া চলেন। তারপর বণিক তার স্ত্রীকে নিজ হাতে সুসজ্জিত করে মধ্যরাতে বিল্বমঙ্গল নিকট দিয়ে আসে।

বণিকের স্ত্রীকে দেখে বিল্বমঙ্গল অর অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে। তার বিবেক তাকে ধিক্কার দিয়ে বলে, "এ তুই কি করছিস? তুই আবার কামে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিস। ভগবানের দর্শনের জন্য তুই আবার পরস্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিস?" এবার বিল্বমঙ্গল বণিকের স্ত্রীকে বলল, " আমি যা চাইব তুমি কি তাই আমাকে দিতে পারবে?" বণিকের স্ত্রী বলল, "ঠাকুর! আমি আজ আপনাকে সবকিছু দেওয়ার জন্যই এখানে এসছি। বলেন আপনার কী চাই?" বিল্বমঙ্গল বলল, "তোমার চুলের কাঁটা দুটো আমাকে দিতে পারবে?" বণিকের স্ত্রী তাড়াতাড়ি করে চুলের কাঁটা দুটি খুলে বিল্বমঙ্গল এর হাতে দিয়ে দেয়। আর তখনই বিল্বমঙ্গল কাঁটা দুটো নিয়ে নিজ চোখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। তাই দেখে বণিকের স্ত্রী বলল, "একি করছেন ঠাকুর? আপনার নয়ন দুটি দিয়ে তো অঝোরে রক্ত ঝরছে।" বিল্বমঙ্গল বলল, "মা, মাগো! আমি এই চক্ষু রাখব না যা দিয়ে আমি ভগবানের দর্শনে বেরিয়ে অন্য কিছু দর্শন করছি। মা, মাগো তুমি আমাায় মাফ করে দাও, আমি তোমার দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকিয়েছি। আমাকে একটি লাঠি দিতে পারো মা?" তখন বণিকের স্ত্রী বিল্বমঙ্গলকে একটি লাঠি দিয়ে বলল, "ঠাকুর! আমার কোনো সন্তান নেই, আজ থেকে তুমি আমার সন্তান। আমি তোমাকে আশির্বাদ করছি তুমি যেন তোমার ভগবানের দর্শন পাও।"

এরপর বিল্বমঙ্গল মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল, "আমি যতদিন ভগবানের দর্শন না পাই ততদিন আমি অন্ন গ্রহণ করবো না।" এরপর বিল্বমঙ্গল আবার বৃন্দাবন যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। এবার সে অন্ধ ..চোখে কিছু দেখতে পায় না। "হা গোবিন্দ, প্রাণ গোবিন্দ! তুমি কোথায়? কৃপা করো মোরে, একটু দর্শন দেও ভগবান। আমি যে বড়ই পাপী।" এই বলছে আর কাঁদছে আর রাস্তা দিয়ে চলছে। তার একি কান্না ..সারাক্ষণ কাঁদছে আর বলছে, "হ গোবিন্দ ! আমাকে একটু বৃন্দাবনের পথ বলে দাও ...আমি করে বৃন্দাবনে যাব?"

রাস্তায় দিয়ে চলতে চলতে কখনো কাঁদায় পড়ে যাচ্ছে আবার কখনো কাঁটায় পড়ে যাচ্ছে। কখনো ধূলায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। সে কি করুণ দৃশ্য তা কেউ চোখে না দেখলে বলতে পারবে না। বিল্বমঙ্গল এর সারা অঙ্গ থেকে রক্ত ঝরছে তবুও তার কোনো চেতনা নাই। সে শুধু "গোবিন্দ, গোবিন্দ " বলছে আর কাঁদছে।

ভক্তের এতো কষ্ট ভগবান সহ্য না করতে পেরে এক ছোট্ট দইওয়ালা বালকের রূপ ধারন করে তার কাছে এলো। বিল্বমঙ্গল তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "বাবা! আমাকে একটু বৃন্দাবনে যাওয়ার পথ বলে দাও। আমি কোন পথে গেলে বৃন্দাবনে যেতে পারব?" তখন বালক রূপী ভগবান বলল, "তোমায় দেখে তো ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছে। তুমি আগে একটু দধি খাও। তার জন্য তোমায় কোনো পয়সা দিতে হবে না।" তখন বিল্বমঙ্গল বলল, "না গো বাবা! আমি প্রতিজ্ঞা করেছি ভগবান যতদিন আমাকে নিজ হস্তে না খাইয়ে দেবে ততদিন আমি কিছু গ্রহণ করবো না। তুমি আমাকে এ অনুরোধ করো না। আমি রাখতে পারবো না। তুমি শুধু আমাকে বৃন্দাবনে নিয়ে চলো। আমি বৃন্দাবনে যাব, আর ভগবানকে দর্শন করবো।" বালক রূপী ভগবান বললেন, "আগে তুমি আমাকে ছাড়, তুমি আমাকে ধরবে না। পরে যদি তুমি আমায় না ছাড়ো। তাই আমি আগে আগে যাবো আর তুমি আমার নূপুরের শব্দ অনুসারণ করে পিছে পিছে আসবে।" বিল্বমঙ্গল বলল, "ঠিক আছে বাবা, তাই হবে। আমি তোমার পিছে পিছে যাব।"

এভাবে বালক রূপী ভগবান বিল্বমঙ্গলকে নিয়ে বৃন্দাবনে গেল। বৃন্দাবনে বালক, বিল্বমঙ্গলকে এক গাছ তলায় বসিয়ে দিয়ে বললেন, "তুমি এখানে বসে ভগবানকে ডাকতে থাকো। আমি আবার আসব।" এই বলে বালকটি সেখান থেকে চলে গেল।। আর বিল্বমঙ্গল ওখানেই বসে ভগবানকে ডাকছে আর অঝোর ধারায় কাঁদছে। তার কান্না দেখে বনে পশুপাখি পর্যন্ত দাড়িয়ে পড়ছে,আশেপাশের সবকিছু স্তব্ধ হয়ে পড়ছে।বিল্বমঙ্গল একমনে ভগবানকে ডাকছে।

বিল্বমঙ্গল এর এই আর্তনাদ শুনে ভগবান ঠিক থাকতে না পেরে স্বমহিমায় চক্র, শঙ্খ, গধা ধারন করে বিল্বমঙ্গল এর সামনে আবির্ভূত হলেন। তারপর বিল্বমঙ্গল বুকে জড়িয়ে বললেন, "আর কাঁদিস না বিল্বমঙ্গল।" নিজ হাতে ভগবান বিল্বমঙ্গল এর চোখের জল মুছে দিল। আর তার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন। বিল্বমঙ্গল তো ভগবানের দর্শন পেয়ে মহা খুশি। বিল্বমঙ্গল ভগবানকে প্রণাম করলেন। ভগবান নিজ হস্তে বিল্বমঙ্গলকে খাইয়ে দিলো।
.
এইভাবে আমরা যদি মনপ্রাণ দিয়ে ভগবানকে ডাকতে পারি তাহলে ভগবান অবশ্যই আমাদের দর্শন দেবেন।
আজ আমরা কতো কিছুই না করি ভালবাসার মানুষটি খুশি করার জন্য। একটু ভেবে বলুনতো ভগবানকে খুশি করার জন্য আমরা কি কিছু করি? ভগবান আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছন একটি স্বতন্ত্র ইচ্ছা শক্তি দিয়ে। আর তার ছলনায় পরে আমরা ভগবানকেই ভুলে যাই।

গীতা সম্পর্কিত আলোচনা

-->>হরে কৃষ্ণ!!
"!!শ্রী গীতামৃতম্!!"
শ্রীগীতা পরমকরুনাময় ভগবান, পদ্মনাভ
শ্রীগোবিন্দের মুখপদ্ম হতে বিনিঃসৃতা।
পদ্মবিগলিত মধু, সকল ভক্ত হৃদয়ে অমৃত দান করে। শ্রীগীতার আঠারোটি অধ্যায়, আঠারোটি শিক্ষা ও সাধন মার্গের আঠারোটি পথ। পার্থ অর্জুনকে দিয়েই গীতার বক্তা স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ, অপার্থিব রাজ্য তথা আত্মধর্ম প্রতিষ্ঠানের দিগনির্দেশনা দান করেন। ভক্ত অর্জুনের সমস্যার একদিক রাষ্ট্রীয়,
অপর দিক পারিবারিক। গীতার প্রথম ছয় অধ্যায়
পর্যন্ত আলোচনা ঈশ্বর কেন্দ্রীক।
শ্রীভগবান ভক্তের আজীবন সঞ্চিত পাপরাশি মুক্ত করার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি শরণাগত ভক্তের সর্ব পাপ মোচনের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। এসব পূর্ণ আত্মসমর্পণের কথা, পরম গতির কথা।
প্রেমই ঈশ্বর, পূর্ণব্রহ্ম সনাতন। "Where love is there is God also." প্রেম বিনে ঈশ্বর লাভ হয় না।
শ্রীমদ্ভগবদ গীতা সেই মহাভাগবতীর প্রেমের
জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। গীতার ভক্তিযোগের মুল কথা
হচ্ছে, সর্বাগ্রে বিশ্বপতির সঙ্গে ভালবাসার হাত
বাড়িয়ে দাও। তুমি সকলের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হও। এবং অহংকার ত্যাগ করে, সমভাবাপন্ন হও। এ সবই ভগবানের ভক্তিযোগ তথা প্রেমেরই বার্তাবাহী।
দেহরাজ্যের ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম এই পঞ্চ তত্ত্বই পান্ডব। অন্ধ মনই ধৃতরাষ্ট্র আর সঞ্জয়
দিব্যদৃষ্টি উপাধি প্রাপ্ত। অন্ধ মন কিছুই বোঝেনা
বলেই সঞ্জয়রুপী দিব্যদৃষ্টিকে দেহরাজ্যে সংঘটিত যুদ্ধের খবর জিঞ্জাসা করছেন। যিনি অর্জুন সারথী, তিনি জীব মাত্রেরই জীবন রথের নিত্য সারথী। তিনি অর্জুন রুপি সকল জীবেরই অন্তরে অন্তর্যামী
পরমাত্মা রুপে থেকে, অঙ্গরাজ্যে সংগমন করতঃ বুদ্ধিবৃত্তিকে চালনা করছেন। শ্রীগীতা "Practical science" বা বিঞ্জান শক্তির কথা বলে। "শক্তি অবিনশ্বর"। সমগ্র বিঞ্জান জুড়ে যেমন এই শক্তির রুপান্তরের কথা বলা হয়েছে, তেমনি গীতাও শক্তির কথা বলছেন।
গীতার প্রতিটি কথা ঈশ্বরের নৈকট্য লাভবেরই কথা। 'যোগ' মানে যুক্ত থাকা। গীতায় বিভিন্ন ভাবে শ্রী ভগবানের সাথে যুক্ত হওয়ার পথ বা মার্গ
দেখানো হয়েছে। তাই গীতার আঠারোটি অধ্যায়
আঠারোটি 'যোগ' পদবীতে ভুষিত করা হয়েছে। যে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত, সে মহাত্মা এবং মুক্ত। সমস্থ বন্ধনের উর্ধ্বে তিনি। তিনি 'মন্মনাঃ' এবং 'মচ্চিত্তা মদ্ গতপ্রাণাঃ'।
শ্রীমৎ গীতা মানব ধর্ম গ্রন্থ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে, সবাই গীতার সার্বভৌম ধর্মপোদেশ গ্রহন করতে পারেন। গীতামৃত পান করে,
সে উপদেশের অনুবর্তী হয়ে, ধর্মজীবন ও কর্মজীবন সুন্দর থেকে সুন্দরতর করতে পারেন। গীতা মায়ের পরম তীর্থে অবগাহন করতে পারলে, সকলেই ঐহিক ও
পারলৌকিক কল্যাণ লাভ করেন। গীতোক্ত
উপদেশামৃত সংক্ষেপে, (ক)কর্মে উদারতা, (খ)কর্মে নিষ্কামতা বা ঞ্জানে ব্রহ্মসম্ভার, (গ)ভক্তিতে শরণাগত, (ঘ)নীতিতে সাম্যদৃষ্টি বা সাম্যবুদ্ধি,
(ঙ)স্বধর্ম পালন, (চ)সাধনা তথা ত্যাগানুশীলন।
গীতোক্ত যোগে ঞ্জান, কর্ম ও ভক্তি এই তিনেরই
সমন্বয় আছে। এবং এ সবই পূর্ণাঙ্গ যোগ। শ্রীগীতায় ভগবান বলেছেন, "জীব ব্রহ্মেরই অংশ, ব্রহ্মকণা ব্রহ্মা অগ্নিরই স্ফুলিঙ্গ।" স্ফুলিঙ্গে অগ্নির লক্ষন
থাকবেই। তাই জীবনেও ব্রহ্ম লক্ষন আছে। গীতা জীবন বৃদ্ধির অমিয় মাখা সত্য স্বরুপ। তাই গীতা সর্বযুগের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ ও পরম তীর্থ। গীতা মায়ের করুণাধারায় স্নাতঃ হলে, সকল পাপ বিমোচন হয়।
পরমকৃপাময়, সচ্চিদানন্দঘন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সবার মঙ্গল ও কল্যাণ করুণ।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতা!!
!!জয় শ্রীগোবিন্দ!! জয় রাধে!! —

প্রশ্ন: অনেক ধর্ম প্রশ্ন করাকে গর্হিত বলে আখ্যা দিয়েছে কিন্তু হিন্দুধর্ম এসম্পর্কে কি বলে?

উত্তর: প্রশ্ন করারকে হিন্দুধর্ম কখনই গর্হিত বলেনি বরং হিন্দুধর্মের বহু জায়গায় প্রশ্ন করাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। কঠোপনিষদে নচিকেতা ও যমের কথোপকথনে সেকথা স্পষ্ট। এখানে জ্ঞানীর কাছে গিয়ে আত্মতত্ত্ব জেনে নিতে বলা হয়েছে। উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরানু নিবোধত। ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দূরত্যয়া দুর্গং পথস্তৎ কবয়ো বদন্তি।। কঠোপনিষদ, ১/৩/১৪ অনুবাদ: তোমরা উত্থিত হও, মোহ-নিদ্রা ত্যাগ করে জাগ্রত হও, শ্রেষ্ঠ আচার্যগণের নিকট গমন করে আত্মতত্ত্ব জ্ঞাত হও; যাঁরা ক্রান্তদর্শী তাঁরা বলেন- আত্মজ্ঞানের পথ ক্ষুরধারার মত দুর্গম, দুরতিক্রমণীয়। অন্যদিকে গীতা বলছে- সেই জ্ঞান তুমি জ্ঞানীদের কাছে গিয়ে জেনে নাও। কপটতা ত্যাগ করে সরলভাবে প্রশ্ন করলে জ্ঞানীগণ তোমাকে উপদেশ (উত্তর) দেবেন। গীতা, ৪/৩৫ আবার বৃহদারণ্যক উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্য ও গার্গী উপাখ্যানে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে দেখা যায়। যাজ্ঞবল্ক্য বিদূষী গার্গীকে অতিপ্রশ্ন করতে নিষেধ করলেও গার্গী প্রশ্ন করেই যায়। যেহেতু প্রশ্ন ছাড়া সম্যক জ্ঞান লাভ অসম্ভব তাই হিন্দুধর্ম কখনই প্রশ্ন করাকে গর্হিত বলেনি। এটা হিন্দুধর্মের উদারতা, কেননা অতিপ্রশ্নের ভয় ঋষিদের ছিল না। যাদের উত্তরহীন প্রশ্নের ভয় থাকে তারাই প্রশ্নের দরজায় তারা ঝুলিয়ে দেয়।
তথ্যসুত্র- হিন্দু ধর্ম জিজ্ঞাসা।