Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Sunday, June 11, 2017

#পরমেশ্বর_ভগবান_কে?  #তিনি_কেমন_দেখতে?  #তিনি_কোথায়_থাকেন?  #সেই_ধাম_দেখতে_কেমন?  #সেখানে_কোন_মানুষ_যেতে_পারবে_কি?  #জীবনে_মানুষের_পক্ষে_কি_ঈশ্বর_দর্শন_সম্ভব?

আসুন জেনে নেই.....
শ্রীব্রক্ষসংহিতা শাস্ত্রে শ্রীব্রক্ষার ভগবদ্ স্তুতিতে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বলা হয়েছেঃ
“ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ। 
অনাদিরাদিগো'বিন্দঃ অাসব'কারণকারণম্।”
অথ্যা'ৎ,"ব্রজেন্দ্রনন্দন শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান।তিনি সৎ,চিৎ ও আনন্দময় পুরুষ। তিনি সব' ইন্দ্রিয়ের দ্বারা একমত্র সেব্য প্রভু। তিনি সব কিছুর মূল রুপ অনাদিরও আদি, তিনি সমস্ত কারনের পরম কারন।(ব্রক্ষসংহিতা৫/১) তিনি দেখতে পরম সুন্দর।বণ'না রয়েছেঃ 
“বেণুং ক্বণন্তমরবিন্দদলায়তাক্ষং
বহা'বতংসমসিতাম্বুদসুন্দরাঙ্গম্।
কন্দপ'কোটিকমনীয়বিশেষশোভং
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।”
অথ্যা'ৎ,"তিনি বেণুবাদন করতে থাকেন।তাঁর দুই নয়ন পদ্মপাপড়ির ন্যায় বিকশিত।তাঁর মস্তকে ময়ুরের পুচ্ছ শোভিত।জলভরা নীল মেঘের মতো তার অঙ্গকান্তি। তিনি কোটি কোটি কন্দপে'র অত্যন্ত কমনীয় রুপ অপেক্ষাও বিশেষ রুপে শোভাযুক্ত। সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। "(ব্রক্ষসংহিতা ৫/৩০) আর বন'না রয়েছেঃ
“আলোলচন্দ্রক লসদ্ বনমাল্য বংশী-
রত্নাঙ্গদং প্রণয়কেলিকলাবিলাসম্।
শ্যামং ত্রিভঙ্গললিতং নিয়তপ্রকাশং
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।”
অথ্যা'ৎ,"দোলায়িত ময়ুর পুচ্ছ শোভিত বনমালা তার গলদেশে, তাঁর দুই হাদে বংশী ও রত্নাঙ্গদ তিনি সব'দা প্রণয় কেলিকলা বিলাসে সুনিপুণ,অত্যান্ত ললিত ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে তিনি দন্ডায় মান হন। তিনি মনোহর শ্যামসুন্দর রুপে নিয়দ প্রকাশমান।সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। (ব্রক্ষসংহিতা ৫/৩১) তিনি থাকেন শ্রীগোলক বৃন্দাবনে। বলা হয়েছেঃ
“গোলোকনাম্নি নিজধাম্নি তলে চ তস্য
দেবী-মহেষ-হরি-ধামাসু তেষু তেষু
তে তে প্রভাবনিচয়া বিহিতাশ্চ যেন
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।”
অথ্যা'ৎ, "এই চেীদ্দভূবন বিশিষ্ঠ দেবীধাম, তার উপরে শিবধাম, তার উপরে বৈকুন্ঠধাম এবং সবার উপরে গোলক নামক কৃষ্ণধাম।সেই সমস্ত ধামে বিভিন্ন প্রভাব সমুহ যিনি বিধান করেছেন, সেই আদি পুরুষ গোবন্দকে আমি ভজনা করি (ব্রক্ষসংহিতা ৫/৪৩) সেই গোলক ধামের বর্ণনা রয়েছেঃ 
চিন্তামণি প্রকরসদ্মসু কল্পবৃক্ষ
লক্ষাবৃতেষু সুরভীরভীপালয়ন্তম্। 
লক্ষীসহস্রশত সম্ভ্রম সেব্যমানং 
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি “
"সেই ধামে চিন্ময় রত্নসমূহের দ্বারা বিরোচিত প্রাসাদ রয়েছে। কোনও জড় বস্তু দিয়ে সেই জগৎ গঠিত নয়। সেখানে কল্পবৃক্ষ রয়েছে। এই জগতে যদি কখন কোন কল্প বৃক্ষ থাকে, তবে তার কাছে ধর্ম,অর্থ,কাম ও মোক্ষরুপ ফল পাওয়া যেতে পারে ; কিন্তু কৃষ্ণলোকে কল্পবৃক্ষ প্রেমভক্তির নান বৈচিত্ররুপ অনন্ত ফল দিয়ে থাকে। সেই লক্ষ লক্ষ কল্পবৃক্ষ পরিবেষ্টিত দিব্য রত্নময় আলয়সমুহ সেখানে বিদ্যমান। সেই আলয় সমুহে সুরভী গাভীসকল পালিত হচ্ছে। সাধারণ কামধেনু দোহন করা মাত্রই দুধ দেয়, আর গোলকের কামধেনু সমুহ ভক্তদের কেবল ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণ করে তাই নয়,সেই কাম ধেনু সকল চিন্ম পরমানন্দ ধারায় প্রেমের স্রোত বইয়ে অনগ'ল দুগ্ধামৃতের মহাসমুদ্র সৃষ্টি করে। শতসহস্র গোপিসুন্দরী-লক্ষীগণ পরম যত্ন সহকারে সেখানে শ্রী কৃষ্ণের সেবা
করছেন।" সেই ধামে মানুষ যেতে পারে। শ্রীকৃষ্ণ-প্রতিনিধি সদ্ গুরুর কৃপায় শুদ্ধ
ভক্তিপূন' কৃষ্ণভাবনাময় স্বীয় চিদবৃত্তিকে অবলম্বন করে সেই গোলক ধামে উপনীত হওয়া যায়। জড়জাগতিক কামনাবাসনাময় নেত্রে নয়, প্রেম নেত্রেই ভগবান কে দেখা যায়। "ভগবৎ প্রেমের রঞ্জনে রঞ্জিত ভক্তিনেত্রে নিষ্টাবান সাধুগণ সর্বদা তাঁদের হৃদয়ে সেই অচিন্ত্যগুণবিশিষ্ট পরমসুন্দর শ্যামসুন্দরকে দর্শন করেন।

No comments:

Post a Comment