উত্তরঃ- শ্রীমদ্ভগবদগীতার নবম অধ্যায়ের ১৬ থেকে ১৯তম শ্লোকে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
"আমি শ্রৌত যজ্ঞ, আমি স্মার্ত যজ্ঞ,আমি। পিতৃযজ্ঞ,আমি ঔষধি অন্ন বা ভেষজ,আমিই হোমাদি সাধন ঘৃত,আমি অগ্নি,আমি এজগতের পিতা-মাতা-বিধাতা-পিতামহ যা কিছু জ্ঞেয় এবং সব পবিত্র বস্তু তা আমিই।
আমি ব্রহ্মবাচক ওঙ্কার আমি ঋগ্ ,সাম,যজুর্বেদ স্বরূপ। আমি গতি আমি প্রভু,আমি শুভাশুভ,আমি রক্ষক,আমি স্রষ্টা,আমি সংহর্তা এবং আমি ভূমি হতে জল আকর্ষন করি, আমিই পুর্নবার জল বর্ষণ করি। আমি জীবের জীবন,আমিই জীবের মৃত্যু।"
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ঈশ্বর শুধু আমাদের সৃষ্টি কর্তাই নন, তিনিই সবকিছু বা সব কিছুতেই তিনি আছেন। ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বত্র বিরাজমান বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে একটিই 'সত্ত্বা' আছে তা হলো ঈশ্বর আর অন্য সবকিছু তাঁরই 'বহুরূপে প্রকাশ ' মাত্র। অর্থাৎ সর্বভূতের ন্যায় সর্ব দেবতাও একই ঈশ্বরের গুনের বিভিন্ন রূপের প্রকাশ।
গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ১১তম শ্লোকে ভগবান স্বয়ং বলেছেন-
যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাং স্তথৈব ভজাম্যহম্।
মম বর্ত্মানুবর্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্বশঃ॥
অনুবাদঃ- হে অর্জুন, যে ব্যক্তি যেভাবে আমাকে ভজন করে, সে ব্যক্তিকে আমি সেভাবে তুষ্ঠ করি।
সহজ কথায় ভগবানের বিভিন্ন শক্তিকে আমরা বিভিন্ন দেব-দেবী রূপে পূজা করে থাকি। তবে ভগবানকে আমরা কখনো বহু চিন্তা করি না। আমাদের চারপাশে আমরা যে সব দেব-দেবীর পূজা করি বা হতে দেখি মূলত তা ঈশ্বরের বিভিন্নরূপের প্রতীকেরই প্রার্থনা করি। হরে কৃষ্ণ।।
Tuesday, June 13, 2017
প্রশ্নঃ- ঈশ্বর এক হলে এত দেব-দেবী কেন?

Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment