★গোপাল-বিষ্ণুর জন্ম-কর্ম সদাই দিব্যময় যা জাগতিক ধারনার ঊর্ধ্বে।তাঁর জড়জগতে অনেকবার জন্ম অতীত হয়েছে!! মৎস্যাবতার, বরাহ, বামন, কুর্মাবতার, ভার্গবরাম, নৃসিংহদেব আদি অবতারভাবে। তিনি বারবার অবতাররুপে জন্মগ্রহণ করেন তা সুন্দরভাগে স্পষ্টভাবেই ঋগবেদ সংহিতার #বিষ্ণুসুক্তেই আছে...
★ঋগবেদ সংহিতায় বিষ্ণুর জড়জগতে অবতরণ কথাঃ
পরো #মাত্রয়া তন্বা বৃধান ন তে
#মহিত্বমন্বশ্নু #বন্তি ।
(ঋগবেদ সংহিতা ৭/৯৯/০১)
♦অনুবাদঃ হে বিষ্ণু! তুমি ত্রিমাত্রাতীত শরীর বর্ধমান হলে তোমার মহিমা কেউ অনুব্যাপ্ত করতে পারেনা।
♦তাৎপর্যঃ এখানে স্পষ্টতই বশিষ্ঠ ঋষি পরম গুহ্যজ্ঞানকে প্রকাশ করে বলছেন, স্বয়ংভগবান বিষ্ণু ত্রিলোকে বিভিন্নরুপে অবতরণ করলে সবাই তাঁকে ত্রিগুনাতীত, অব্যয় ভগবান হিসেবে অনুধাবন করতে পারে না।
কিমিত্তে #বিষ্ণু পরিচক্ষ্যং ভূৎপ্র যদ্ববক্ষে শিপিবিষ্টো অস্মি। মা বর্পো অস্মদপ গূহ #এতদ্যদন্যরূপঃ সমিথে বভূথ।।
(ঋগবেদ সংহিতা ০৭/১০০/০৬)
♦অনুবাদঃ হে বিষ্ণু! আমি "শিপিবিষ্ট" নামে আখ্যায়িত করছি,সেটা কি যথাযথ নয়? #সংগ্রামে(ধর্ম সংস্হাপন-অসুরবিনাশহেতু) তুমি অন্যরূপ ধারন করো না,আমাদের নিকট হতে তোমার শরীর গুপ্ত করো না।
♦তাৎপর্যঃ স্বয়ং ভগবান নিজ অন্তরঙ্গা যোগমায়া দ্বারা সমাবৃত হয়ে বিভিন্নরুপে প্রকাশিত নন,তাই সকলে তাকে সমভাবে অজ,অব্যয় দিব্যস্বরুপ জানতে পারে না। তাই বশিষ্ঠ ঋষির প্রার্থনা, বিষ্ণু যে রুপই ধারন করুন না কেন তিনি যেন বিষ্ণুকে তাঁর নিজ স্বরুপেই জানতে পারেন,বুঝতে পারেন।।
লিখেছেন- প্রভু সজীব তালুকদার।
No comments:
Post a Comment