হনুমান জী হলেন পরম রাম ভক্ত । তিনি
মহাদেবের অবতার । তাঁকে রুদ্র অবতার ও
বলা হয় । হনুমান জীর পিতা হলেন কেশরী
মায়ের নাম অঞ্জনা । অঞ্জনা দেবী পূর্ব
জন্মে স্বর্গের এক অস্পরা ছিলেন । চঞ্চল
স্বভাবের জন্য ঋষি দুর্বাসার শাপে তিনি
পৃথিবীতে বানর কূলে জন্ম নেন । হনুমান জীর
পালক পিতা ছিলেন পবন দেবতা । কিন্তু
মহাদেব কেন বানর কূলে জন্ম নিলেন ? এর
একটা কারন আছে । একবার দশানন রাবণ
জোর করে কৈলাশ এ প্রবেশ করতে গেলেন ।
দ্বার পাহাড়ায় ছিলেন নন্দী মহারাজ । এক
প্রস্থ হাতাহাতিও হয়ে গেলো । রাবণ নন্দী
কে দেখে পশু , মানুষ বলে উপহাস করাতে
নন্দী রেগে রাবণ কে শাপ দিলেন ‘নর বানর
এর হাতেই তোর ধ্বংস’ । তাই বানর কূলে
মহাদেব ছাড়া অনান্য দেবতারা জন্ম নিলেন
বানর রূপে । স্বয়ং শ্রীপতি জনার্দন জন্ম
নিলেন দশরথ রাজার ঘরে রাম রূপে । তিনি
ছিলেন নর রূপে নারায়ণ ।
হনুমান জী ছিলেন ছোট বেলায় খুব চঞ্চল ।
গাছের ফল মূল আর পাকতে হতো না । স্বয়ং
বিশ্ব পিতা মহাদেব মায়ের কোল পেয়ে হয়ে
গেলেন সাধারন এক বানর শিশুর মতোই ।
যেমন ভগবান বিষ্ণু যশোদা গৃহে নানা রকম
দুষ্টামি , মাখন চুরি করে বেড়াতেন । যশোদা
দেবী কে শুনতে হতো নালিশ । মায়ের কোল
এমনই – ভগবান ও আত্মহারা হয়ে যান ।
চঞ্চলতা এমন পর্যায়ে গেলো একদিন হনুমান
সূর্য কে ফল ভেবে খেতে গেলেন । আকাশে
ভ্রমণের বিদ্যা হনুমান জী পবন দেবতার
থেকেই পেয়েছিলেন । সূর্য দেবতাকে
গিলেই ফেললেন । চতুর্দিকে অন্ধকার নেমে
এলো । ইন্দ্র দেবতা তখন বজ্র প্রয়োগ করে
হনুমান জীকে ধরাশায়ী করে সূর্য কে উদ্ধার
করলেন । এদিকে হনুমান জী কে আহত দেখে
পবন দেবতা খুব ক্রুদ্ধ হয়ে বিশ্বের সকল বায়ূ
হরণ করলেন । বিশ্বে ঘোর দুর্যোগ নেমে
এলো , তখন সমস্ত দেবতা মিলে হনুমান জীকে
সুস্থ করে তাঁকে নানা অদ্ভুত বর প্রদান
করলেন । হনুমান জী চাঁর যুগে অমর।
হনুমান জী এর পর তার দৈব বিদ্যা দিয়ে
দুষ্টুমি করে বেড়াতে লাগলেন । অনেক সময়
দেখা যেতো ধ্যান মগ্ন কোন মুনিকে উড়িয়ে
নিয়ে আর এক জায়গায় রেখে আসতেন ।
গাছের ফল আর গাছে থাকলো না । একদিন
এক মুনি তাঁকে শাপ দেন ‘সে তাঁর সমস্ত
শক্তি ভুলে যাবে, কালান্তরে কেউ তাঁকে
মনে করালেই তাঁর সমস্ত শক্তির কথা মনে
পড়বে’। লঙ্কা তে যাবার সময় জাম্বুবান
তাঁকে সমস্ত শক্তির কথা মনে করিয়েছিলেন
। হনুমান জী সুগ্রীবের সাথেই থাকতেন ।
লঙ্কা থেকে দেব- ব্রাহ্মণ – শাস্ত্র
বিদ্বেষী রাক্ষস বাহিনী দক্ষিণ ভারতে
অনেক স্থানে হামলা করতো । হনুমান জী এই
রাক্ষস দের বধ করে সকল কে রক্ষা করতেন ।
হনুমান জী কিন্তু রাম প্রসাদ ভিন্ন আহার
করেন না । তাঁর প্রসাদে তুলসী পত্র না দিলে
তাঁর উদর তৃপ্তি হয় না । একদিন সীতা দেবী
হনুমান কে তুলসী ভিন্ন আহার দিয়েছিলেন ।
হনুমান জি গোগ্রাসে খেতে লাগলেন । এমন
হল যে খাবার শেষ , কিন্তু হনুমান জীর উদর
শান্ত হল না । শেষে সীতা দেবী একটি তুলসী
পত্র নিবেদন দিতেই হনুমান জী ঢেঁকুর তুললেন।
হনুমান জী চার যুগে অমর । যেখানে রাম
কথা , রাম লীলা , রাম নাম হয় সেখানে উনি
সূক্ষ্ম দেহে থাকেন ।
Thursday, June 15, 2017
হনুমান জী'র মাহাত্ম্য কথন
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment