উত্তরঃ কৃষ্ণভক্ত দুই রকমের । শুদ্ধভক্ত এবং মিশ্র ভক্ত । মিশ্র ভক্তের জর-জাগতিক অভিলাষ থাকে । জর জগত্ স্বরূপে দঃখময় । অতএব এখানে দুঃখকষ্টহীন অবস্থা লাভ করা যায় না । শুদ্ধভক্ত ঐকান্তিকভাবে কৃষ্ণের শরণাগত থাকেন । অন্য অভিলাষ থাকে না । জর জাগতিক কি দুঃখ কি সুখ এ বিষয়ে উদাসীন । তিনি কৃষ্ণচেতনায় অবস্থান করেন । কৃষ্ণ আনন্দময় । তঁর ভক্তও আনন্দিত থাকেন ।শ্রীল রূপ গোস্বামী বলেছেন, শুদ্ধভক্তি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ক্লেশঘ্নী ।অর্থাত্, শুদ্ধভক্তি ভক্তের যাবতীয় ক্লেশ নাশ করেন । জীবের এ জগতে ক্লেশের করণ তিনটি পাপ, পাপবীজ ও অবিদ্যা ।পাপ দুই প্রকার অপ্রারব্ধ ও প্রারব্ধ । যে পাপ কর্ম সংস্কার রূপে জীবের সূক্ষ্ম দেহে রয়েছে এবং যার ফল উদয়ের সময় এখন উপস্থিত হয়নি, সেই পাপকে বলা হয় অপ্রারব্ধ ।যে পাপ সূক্ষ্ম সংস্কাররূপে চিত্তে রয়েছে তাকে পাপবীজ বলে । সেটি পাপকর্ম নয়, তা হল পাপবাসনা । বাসনা রূপে রয়েছে । সেই বাসনা যে কোনও সময় কর্মরূপে প্রকাশিত হতে পারে এবং পরিণামে তার ফলও পেতে হবে ।অবিদ্য হচ্ছে, বিদ্যা বা জ্ঞানের বিবরীত অজ্ঞান । অনিত্য বস্তুতে নিত্য বুদ্ধি, অশুচিতে শুচি জ্ঞান্ম দুঃখে সুখবুদ্ধি এবং অনাত্মাকে আত্মবোধ এগুলি অবিদ্যা ।শুদ্ধভক্তি এই সমস্ত রকমের ক্লেশের কারণকে নষ্ট করে দিতে পারেন বলেই ঐকান্তিক কৃষ্ণভক্তির অনুশীলনকারী ভক্তের কোনও দুঃখকষ্ট নেই বলে উল্লেক্ষ করা হয় ।।
No comments:
Post a Comment