উত্তর: প্রশ্ন করারকে হিন্দুধর্ম কখনই গর্হিত বলেনি বরং হিন্দুধর্মের বহু জায়গায় প্রশ্ন করাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। কঠোপনিষদে নচিকেতা ও যমের কথোপকথনে সেকথা স্পষ্ট। এখানে জ্ঞানীর কাছে গিয়ে আত্মতত্ত্ব জেনে নিতে বলা হয়েছে। উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরানু নিবোধত। ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দূরত্যয়া দুর্গং পথস্তৎ কবয়ো বদন্তি।। কঠোপনিষদ, ১/৩/১৪ অনুবাদ: তোমরা উত্থিত হও, মোহ-নিদ্রা ত্যাগ করে জাগ্রত হও, শ্রেষ্ঠ আচার্যগণের নিকট গমন করে আত্মতত্ত্ব জ্ঞাত হও; যাঁরা ক্রান্তদর্শী তাঁরা বলেন- আত্মজ্ঞানের পথ ক্ষুরধারার মত দুর্গম, দুরতিক্রমণীয়। অন্যদিকে গীতা বলছে- সেই জ্ঞান তুমি জ্ঞানীদের কাছে গিয়ে জেনে নাও। কপটতা ত্যাগ করে সরলভাবে প্রশ্ন করলে জ্ঞানীগণ তোমাকে উপদেশ (উত্তর) দেবেন। গীতা, ৪/৩৫ আবার বৃহদারণ্যক উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্য ও গার্গী উপাখ্যানে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে দেখা যায়। যাজ্ঞবল্ক্য বিদূষী গার্গীকে অতিপ্রশ্ন করতে নিষেধ করলেও গার্গী প্রশ্ন করেই যায়। যেহেতু প্রশ্ন ছাড়া সম্যক জ্ঞান লাভ অসম্ভব তাই হিন্দুধর্ম কখনই প্রশ্ন করাকে গর্হিত বলেনি। এটা হিন্দুধর্মের উদারতা, কেননা অতিপ্রশ্নের ভয় ঋষিদের ছিল না। যাদের উত্তরহীন প্রশ্নের ভয় থাকে তারাই প্রশ্নের দরজায় তারা ঝুলিয়ে দেয়।
তথ্যসুত্র- হিন্দু ধর্ম জিজ্ঞাসা।
Thursday, June 15, 2017
প্রশ্ন: অনেক ধর্ম প্রশ্ন করাকে গর্হিত বলে আখ্যা দিয়েছে কিন্তু হিন্দুধর্ম এসম্পর্কে কি বলে?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment