এই তর্কের তিনটি মাত্র উত্তর প্রাচীন দর্শনশাস্ত্র হতে পাওয়া যায়—
#প্রথম। বেদ নিত্য এবং অপৌরুষেয়, সুতরাং ইহা মান্য।
#দ্বিতীয়। বেদ ঈশ্বরপ্রণীত, এই জন্য মান্য। বেদে আছে, বেদ ঈশ্বরসম্ভূত, কিন্তু যেখানে তাঁহারা বেদ মানিতেছেন না, তখন তাঁহারা বেদের কোন কথা মানিবেন না। এ বিষয়ে যে বাদানুবাদ হইতে পারে, তাহা সহজেই অনুমেয়, এবং তাহা সবিস্তারে লিখিবার আবশ্যকতা নাই। যাঁহারা ঈশ্বর মানেন না, তাঁহারা ঈশ্বরপ্রণীত বলিয়া যে স্বীকার করিবেন না, তাহা বলা বাহুল্য।
#তৃতীয়। বেদের নিজ শক্তির অভিব্যক্তির দ্বারাই বেদের প্রামাণ্য সিদ্ধ হইতেছে। সাংখ্যকার এই উত্তর দিয়াছেন। সায়নাচার্য্য বেদার্থপ্রকাশ এবং শঙ্করাচার্য্য ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্যে ঐরূপ নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে কেবল ইহাই বক্তব্য যে, যদি বেদের এরূপ শক্তি থাকে, তবে বেদ অবশ্য মান্য। কিন্তু সে শক্তি আছে কি না, এই এক স্বতন্ত্র বিচার আবশ্যক হইতেছে। অনেকে বলিবেন যে, আমরা এরূপ শক্তি দেখিতেছি না।
মুণ্ডকোপনিষদের আরম্ভে “দ্বে বিদ্যে বেদিতব্যে ইতিহ স্ম যদব্রহ্মবিদো বদন্তি পরা চৈবাপরা চ। তত্রাপরা ঋগ্বেদো যজুর্ব্বেদঃ সামবেদোহথর্ব্ববেদঃ শিক্ষাকল্পব্যাকরণং নিরুক্তংছন্দো জ্যোতিষমিতি। অথ পরা যয়া তদক্ষরমধিগম্যতে |”
অর্থাৎ পুরুষকে অনুগমন করে পরকালে বিদ্যা, ধর্ম্ম আর পূর্ব্বজ্ঞান। এই অপরা বিদ্যা ও ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া, তাহা মৃত্যুর পরও জীবনের চিরসাথী করিবার জন্য বিহিত প্রকারে বেদাধ্যয়ন, তদর্থজ্ঞান এবং অর্থজ্ঞান লাভের অনুকূল বেদাঙ্গও অধ্যয়ন করা প্রত্যেক সুবুদ্ধি ব্যক্তির উচিত।
Thursday, April 20, 2017
বেদ মানবে কেন?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment