Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Sunday, June 25, 2017

রথ সম্পর্কিত তথ্য

রথ হল তিনটি।
জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ বা কপিধ্বজ । এই রথের 16টি চাকা। রথের রঙ পীত।
ষোল চাকা মানে দশ ইন্দ্রিয় আর ছয় রিপূ । যা থাকে ভগবানের নীচে।
জগন্নাথ প্রতিবছর নব রথে উঠে। নব মানে নতুন আবার নব মানে নববিধা ভক্তি। মানে ভক্তির রথে জগন্নাথ উঠে। ভক্তি দিয়ে গড়া রথ।
দেহের সাথে রথের অনেক মিল। ঠিক যেমন আমাদের দেহ ভক্তি দিয়ে গড়া হলে ভগবান আসবে। একবার নেমে গেলে পুরাতন রথে জগন্নাথ উঠে না। ঠিক একবার চলে গেলে এই পুরাতন দেহে আর ভগবান আসে না।
206 টি কাঠ দিয়ে জগন্নাথের রথ হয়। ঠিক আমাদের দেহেও 206 টি হাড়।
পুরীতে রথ টানে ঘোড়া। দেহের ঘোড়া হল আমাদের ইন্দ্রিয়।
রথের ঘোড়া টানে দড়ি। দেহের এই দড়ি হল মন ।
পুরীর রথের সারথী হল দারুক।
দেহের সারথী হল বুদ্ধি । দেহ রথের রথী হল জগন্নাথ। সবাই যায় রথ দেখতে। কারণে ওতে রথী আছে প্রভু জগন্নাথ। একবার উল্টোরথের পর নেমে গেলে জগন্নাথ। সেই রথে আর উঠে না। রথের কাঠ ভেঙে জগন্নাথের রান্না কাজে লাগানো হয়।
আমাদের দেহ থেকেও জগন্নাথ নেমে গেলে আর কেউ এই দেহ রাখবে না। কোন মূল্য নেই। মৃত বলে পুড়ে ফেলবে।
বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ বা হলধ্বজ। 14টি চাকা আছে। 14টি চাকা মানে 14টি ভুবন। বলভদ্র হল গুরুতত্ত্ব। গুরুতত্ত্বের অধীন 14টি ভূবন। গুরুর অনুগত হতে হবে 14টি ভুবনে থাকতে হবে। রথাবরন- রক্তনীল। রথের সারথি - মাতলী, রথের রক্ষক- ভাষ্কর, রথের অশ্ব- তীব্র, ঘোর, দীর্ঘশ্রম, ও স্বর্ণলাভ।
সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজ বা দর্পদলন। দেবী সুভদ্রার রথের পরিচয়------
দেবতাদের দ্বারা প্রদত্ত সুভদ্রা দেবীর রথের নাম 'দর্পদলন'। রথের উচ্চতা 31 হাত। এই রথে 12 টি চাকা আছে। 12টি মানে। ভজনের সময় বার মাস। প্রতিদিন ভক্তিঙ্গ যাজন করতে হবে।
রথ যখন চলে প্রথমে বলদেবের রথ। কারণ বলদেব দাদা। আবার জগত গুরুতত্ত্ব। তিনিই তো নিত্যানন্দ ।সবার জীবনে আগে গুরুকৃপা আসতে হবে।
তারপর চলে সুভদ্রা। সুভদ্রা হল ভক্তি তত্ত্ব। গুরুকৃপার পর আসে ভক্তিমহারাণী। কারণ ভক্তির ঠিকানা শ্রীগুরুপদে। "শ্রীগুরুপাদপদ্
ম কেবলি ভক্তিসদ্ম। বন্দি মুই সাবধান সনে।" ভক্তির ঠিকানা ভগবানের কাছে না গুরুদেবের চরনে। তাই গুরুদেবকে মনুষ্য বুদ্বি করা অপরাধ। গুরুদেব হল ভগবানের করুনার মুর্তি।
তারপর যাই জগন্নাথের রথ। গুরুদেব আগে তারপর ভক্তি তারপর জীবনে আসে ভগবান জগন্নাথ ।
রথ কাঠের নিমির্ত হলেও সামান্য নয়। চিন্ময় কারণ এতে জগন্নাথ জগতের নাথ বিরাজিত হয়।
রথের দর্শনে শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভু নৃত্য করছেন। অপলক নয়নে দর্শন করছেন জগন্নাথ। রথ চলতে চলতে থেমে যায়, আবার অনেক সময় একদম চলে না।
তার কারন রাধা ভাবে বিভর মহাপ্রভুকে ভাল করে দেখার জন্য রথ একটু থামে আবার চলে। একবারে থেমে যায় কারন অনেক ভক্তের মাঝে মহাপ্রভুকে না দেখে জগন্নাথ থেমে যায়। রথ অপ্রকৃতি কারন এ প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছা শক্তিতে রথ চলে।
আজও রথে অচল জগন্নাথকে দেখে রাধা ভাবে বিভর মহাপ্রভু আনন্দে নেচে নেচে যায়।
জয় জগন্নাথ জয় মহাপ্রভু।।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।

No comments:

Post a Comment