Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Friday, June 30, 2017

বেদের পরিচয়- পর্ব ৬ -Introduced to Veda (কপি না করে শেয়ার করে সহায়তা করুন)

সে এক অতীত গৌরবের শান্তিময় কথা। জগতের সভ্যতা তখন স্নেহময়ী জননী-স্বরুপিনী পরমপূতভূমি আমাদের সমুজ্জল ভারতবর্ষে চরম সীমা লাভ করেছিল। গ্রীক্সভ্যতার সংবাদ তখনও লোক-সমাজে পৌঁছায় নি-জগৎ তখনও বিচলিত হয় নি কুহকিনীর কুটিলনাট্যসম জড়-সভ্যতার মনোমুগ্ধকর বাহ্যিক চাকচিক্যে। এমন কি, বর্ত্তমান সময়ের তথাকথিত বহু সভ্য জাতির অস্তিত্ব পর্য্যন্ত তখন ছিল কি না সন্দেহ। আর যদিও সেই সকল জাতির কোনও অস্তিত্বের সংবাদ পাওয়া যায়, তাদের আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-দীক্ষা, শারীরিক ও মানসিক বৃত্তি বন্য পশু হতে বিশেষ শ্রেষ্ঠ ছিল বলে স্বীকার করা যায় না। ভারতের সেই গৌরব-রবি আজ পরমার্থ আকাশের পশ্চিমাচলে অস্তমিতপ্রায়। অনন্ত ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আবহমান কাল যে পারমার্থিক সভ্যতার জয়-পতাকা আজও পর্য্যন্ত কোনপ্রকারে উড্ডীয়ন রয়েছেন, তাকে চিরতরে ধূলিসাৎ করবার জন্য চতুর্দ্দিক হতে যে প্রবলা বাত্যা উঠছে, তাদের সর্ব্বগ্রাসিনী শক্তির হস্ত হতে ভারতের সেই সর্ব্ব-প্রাচীন পরমার্থ-জয়পতাকা আজ রক্ষা করে অভ্রভেদি-গিরিশৃঙ্গসম উন্নত রাখবার জন্য কি সেই গৌরবে গৌরবান্বিত শতসহস্র ঋষিসন্তান উন্নতমস্তকে স্ফীতবক্ষে উঠে দাঁড়াবেন না? নিভৃতে নির্ঝরিত বক্ষ-ভাসান চক্ষের তপ্তবারি মুছে ফেলে অতীত গৌরব অক্ষুন্ন রাখবার জন্য কি আর্য্য-পুত্রগণ প্রবলোৎসাহে বিপুলা চেষ্টার আবাহন করবেন না? সেই পারমার্থিক গৌরব কেবল মাত্র আর্য্যসন্তানগণেরই সম্পত্তি নয়; সমগ্র বিশ্ব-যাবতীয় চেতনাচেতন জগতের প্রাণীই অনাদিকাল হতে ভারতের ভাগ্যাকাশে উদিত পরমার্থ রবির কিরণে উদ্ভাসিত, জ্যোতিতে অনুপ্রাণিত ও আকর্ষণে নিত্য-শ্রেয়ের পথে পরিচালিত। এই আদি-আদিত্যেরই অতি ক্ষুদ্র কিরণচ্ছটায় পথ দেখেই পরবর্ত্তী কালের পথভ্রষ্ট দিশাহারা বহু জীবকে পথ প্রদর্শনের প্রয়াস পায়েছেন কতশত আচার্য্য, ধর্মগুরু ও ধর্মমত-প্রবর্ত্তক। নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করলে ইহা সহজেই প্রমাণিত হয় যে, তাঁদের যাবতীয় শিক্ষা, ধর্মোপদেশ ও প্রচারপ্রচেষ্টার অশেষ যন্ত জ্ঞাতাজ্ঞাতভাবে এই পারমার্থিক ভারতেরই অফুরন্ত আদি রত্নভাণ্ডার হতে উৎপত্তি লাভ করেছিল। বর্ত্তমান সময়ে সেই অমূল্য রত্নরাজির সনাতনী বীর্য্যবতী কথার আলোচনাভাবে তাহা বিস্মৃতির অগাধ জলধিগর্ভে নিক্ষিপ্ত দেখে অনেক সদয়-হৃদয়, ধর্মপ্রাণ সজ্জনের শঙ্কার কারণ হয়েছে এবং এই জন্যই সেই অপ্রাপ্য রত্ন-ভাণ্ডারের গভীরতম তলদেশ হতে দুই একটি রত্ন আহরণ করে তাহার দিগদর্শন করবার জন্য বর্ত্তমান প্রয়াস। অতীত গৌরবের মূলভিত্তি হইল ঋষিসন্তানগণের হৃদয়-ধন বেদশাস্ত্র ও তাহার শিক্ষা। এ হেন বেদশাস্ত্র কি, ইহার উৎপত্তি কি প্রকারে হয়েছিল এবং এতে আছেই বা কোন্ রত্ন কি ভাবে নিহিত, তা উদ্ঘাটনের প্রযন্ত করব সকলের বোধগম্য সহজ-সরল বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে, যাতে বাঙ্গালার আর্য্যসন্তান বেদ-রত্নাভরণে সজ্জিত হয়ে দাঁড়াতে পারেন সহাস্যবদনে বেদপুরুষের সন্মুখে। পাঠ শেষে শেয়ার করে প্রচার করুন- ক্রমশঃ-
নিবেদনে- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্কুল।।

No comments:

Post a Comment