'য' মানে যাওয়ন, 'ঋ' ধাতুর মানে হয় যে আবর্ত্তন;
'ঋ' এবং 'য'-এ আর্য্য হইবে, উহারা দক্ষ হন,
ওরা এক কাজ করে বার বার, উৎপথে নাহি যায়;
তত্ত্বদর্শী ভদ্র যেজন, আর্য্য বলিব তায়। ।১।
আর্য্য বলিয়া কোন জাতি নাই, উহারা মান্যজন;
শ্বশুর, গুরু ও ভদ্রলোকেরা তাই তো আর্য্য হন।
'আর্য্যপুত্ত্র' বলিয়া স্বামীকে করিব সম্ভাষণ।
তিনি যে আমার শ্বশুর পুত্ত্র এবং মান্যজন। ।২।
প্রভু, আচার্য্য, জ্যেষ্ঠভ্রাতাকে আর্য্য বলিব আমি;
আর্য্য শব্দে হতে পারে সাধু, সজ্জন আর স্বামী।
আর্য্য হইল সুশিষ্ট আর আচারনিষ্ঠ জন;
সকল দেশেই থাকেন তারা, শুধু ভারতের নন। ।৩।
শ্রেষ্ঠা রমণী পূজ্যা হইবে, আর্য্যা বলিব তায়;
স্বশুর মশাই আর্য্য, শাশুড়ী আর্য্যা হইয়া যায়।
আর্য্যা ছন্দে রচিত শ্লোককে আর্য্যা বলিতে চাই।
শুভঙ্করের আর্য্যা পড়িয়া অঙ্ক কষিয়া যাই। ।৪।
আর্য্যাবর্ত্তে হয় যে আর্য্যগণের আবর্ত্তন,
সেথা পুনঃ পুনঃ উদ্ভূত হন ভদ্র আর্য্যগণ।
হিমালয় থেকে বিন্ধ্য হইল আর্য্যগণের স্থান,
বিদেশের থেকে আসে নাই ওরা এদেশের সন্তান। ।৫।
অনার্য্যগণ আর্য্য হইতে ভিন্ন জাতির নন,
ভদ্র এবং শুচি হ'লে পর সবাই আর্য্য হন।
আর্য্য এবং অনার্য্যদের ঝগড়া কেন হয়,
পুরাণাদির পাতায় পাতায় সে ইতিহাস রয়। ।৬। --- বর্ণসঙ্গীত।
শুভাষিশ চিরকল্যাণ পাত্র
Tuesday, March 28, 2017
আর্য্য কে বা কারা?

Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment