Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Saturday, April 15, 2017

শ্রীকৃষ্ণ সমগ্র

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্যতিত আমাদের হিন্দুদের জীবন অন্ধকারে পরিপূর্ণ। কারণ, আমাদের রক্তের সাথে মিশে আছে শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র!
মহাভারতের আদিপর্বেই বেদব্যাস শ্রীকৃষ্ণকে পরম পুরুষ ও ভগবান বলে চিহ্নিত করেছেন। আমরা অনেকেই জানি যে, সম্পর্কের দিক থেকে পঞ্চপাণ্ডবের মাতা কুন্তী ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পিসী। মহাভারতে দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় বলরামের সাথে আমরা শ্রীকৃষ্ণকে প্রথম দেখি। তিনি ছিলেন অর্জুনের সমবয়স্ক। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র ও তাঁর দূরদৃষ্টিকে জানতে হলে মহাভারতে তাঁর সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে সেগুলো আমাদের সঠিক ভাবে জানতে হবে।
সেসময় বিশাল ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের রাজন্যবৃন্দ পারস্পারিক দ্বন্দ্বে মত্ত থেকে ভারতের রাজনৈতিক ঐক্যপ্রয়াসকে করেছিলেন সুদূরপরাহত। সার্বভম সর্বভারতীয় এক রাষ্ট্রগঠনের মনোভাব বা দূরদর্শিতা তাদের ছিল না। বলা হয়ে থাকে যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভারতে একটি দৃঢ় রাষ্ট্রবাবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন এবং তাঁর কাছে যুধিষ্ঠিরই ছিলেন সেই প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের কর্ণধার হওয়ার পক্ষে সবদিক থেকে উপযুক্ত ব্যক্তি। দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক বিচক্ষনতার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন সমধিক প্রসিদ্ধ।
স্বীয় মর্যাদাবোধের অহমিকায় আচ্ছন্ন না থেকে শ্রীকৃষ্ণ সর্বদা সামাজিক কর্তব্যবোধকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। যার উদাহরন হচ্ছে, “শ্রীকৃষ্ণ রাজসূয় যজ্ঞে নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণদের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন।”
আজ ধর্ম-সাম্রাজ্য-সংগঠক শ্রীকৃষ্ণের কর্মপ্রতিভা ও কীর্তিকলাপের স্মৃতিগুলি বিসর্জন দিয়ে তাঁকে শুধুমাত্র বৃন্দাবনের ভাবসাধনার প্রতিমায় সাজিয়ে বসনচোরা, গোপীচোরা হিসেবেই বেশি প্রচার করা হয়।
আর্য হিন্দুজাতির সংস্কারক, ধর্ম সাম্রাজ্য সংগঠক শ্রীকৃষ্ণের জীবনের যথার্থ ও ঐতিহাসিক কীর্তিকলাপের প্রচারের একটি অংশ হিসেবে শুরু হল এই ধারাবাহিক লেখা; যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবন ও চরিত্রের সকল বিকৃতি দূর করে সমগ্র হিন্দু জাতির আরাধ্য আদর্শ, হিন্দু ধর্মের ও জাতীয়তার পরিপূর্ণ বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হবে.....

No comments:

Post a Comment