বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের দোলযাত্রা উৎযাপনের ৫ টি কারনঃ
১) ভগবানের ভক্ত বৎসল্যতার প্রতীক হিসেবে
২) ভগবানের অচিরেই ভক্ত রক্ষতার প্রতীক হিসেবে
৩) ভগবানের ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসেবে
৪) ভগবানের ধর্ম স্হাপনের প্রতীক হিসেবে
৫) ভগবানের স্বয়ং অবতরণের দিবস হিসেবে।
ভগবান ভক্তপ্রিয়-
দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপী,গোপগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। ভগবানও, তার ভক্তের সাথে আনন্দ বিলিয়ে দেন,অর্থ্যাৎ ভগবানের প্রেমভাব কে নির্দেশ হেতু উদযাপন। তাই দোলযাত্রার দিন সকালে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে অর্চনা করা হয়।।
ভগবান ভক্ত রক্ষক-
স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুনমাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে হোলিকা ও প্রহ্লাদের উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে। হোলিকা ছিলেন মহর্ষি কশ্যপ ও তাঁর পত্নী দিতির পুত্র হিরণ্যকশিপুর ভগিনী। ব্রহ্মার বরে হিরণ্যকশিপু দেব ও মানব বিজয়ী হয়ে দেবতাদের অবজ্ঞা করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত।প্রহ্লাদ বিষ্ণুকে নিজ পিতার উপরে স্থান দেওয়ায় ক্রুদ্ধ হয়ে হিরণ্যকশিপু নিজের পুত্রকে পুড়িয়ে মারার আদেশ দেন। দাদার আজ্ঞায় হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে অগ্নিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদ অক্ষত থাকেন; বরং আগুনে পুড়ে হোলিকারই মৃত্যু হয়।
ভগবান ধর্ম রক্ষক-
বসন্তের পূর্ণিমার এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেশি নামক অসুরকে বধ করেন। কোথাও কোথাও অরিষ্টাসুর নামক অসুর বধের কথাও আছে।এভাবে অসুরদের বধ করেন সাধুদের মাঝে শান্তি ও ধর্ম রক্ষা করেন।
ভগবান ঐশ্বর্যধারী
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তো সর্বদাই দোদুল্যমান।এই জগৎ সংসারকে দোলাচ্ছেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আমরাও প্রত্যেকে দুলছি |
ভগবানের স্বরুপে অবতরন
এই তিথিতে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মহাপ্রভু রুপে অবতীর্ণ হন।তাই এ দিবসকে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
লিখেছেন- সজীব তালুকদার মন।
Sunday, March 12, 2017
বৈদিক সনাতন ধর্মাবলম্বী বৈষ্ণব সম্প্রদায় দোলযাত্রা কিভাবে উৎযাপন করেন?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment