♥একদিন শ্রীচৈতন্য দেব ও জগদানন্দ পন্ডিত পাঠশালা থেকে ফেরার পথে একটি শুখ পাখি দেখতে পেলেন ৷ ভগবান গৌরাঙ্গ বললেন "আহা,, এই শুক পাখি আর শুকদেব গোস্বামী অভিন্ন ৷ শুকদেব শ্রীমদ্ভাগবতম সম্পূৰ্ণ বৰ্ণনা করেছেন ৷" তিনি শুক পাখিকে বললেন, " কৃপা করে আমাদের রাধাকৃষ্ণের মহিমা বল ৷" কিন্তুু শুকপাখি রাধাকৃষ্ণের মহিমা না বৰ্ণন করে গৌর গৌর গৌর! গৌর! বলতে লাগল ৷ শ্রীচৈতন্য দেব কানে আঙ্গুল দিলেন,আর বলতে লাগলেন ,, না না না আমি তুমাকে রাধাকৃষ্ণের মহিমা কীৰ্তন করতে বলছি ৷ আর তুমি এসব কি বলছ? কৃপা করে রাধাকৃষ্ণের স্তব কর ৷ " কিন্তু সেই শুক পাখি আবার স্তব করতে লাগলেন গৌর গৌর গৌর! গৌর!" শ্রীচৈতন্য দেব বলছেন তুমি এসব কি বলছ? এই স্থান অভিন্ন বৃন্দাবন, তাই তুমার উচিত এখানে রাধাকৃষ্ণের মহিমা কীৰ্তন করা ৷
এই শুক পাখি কেনো সাধারণ পাখি ছিলনা, সে ছিল চিন্ময় ৷ সে বলল, দেখুন আপনার এইনাম ভালো না লাগলে কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখুন রাধা এবং কৃষ্ণ একত্রে মিলিত হয়ে এখানে গৌরাঙ্গরূপে বিরাজ করছেন, তাই আমি রাধাকৃষ্ণের নাম গৌরাঙ্গ রূপে কীৰ্তন করতে চাই ৷ আপনি যদি অন্য কোনো নাম কীৰ্তন করতে চান করতে পারেন ৷ আমায় বিরক্ত করবেন না আমি গৌর নামই কীৰ্তন করব ৷ কেননা আমার কাছে গৌরই রাধা কৃষ্ণ, ,,,, এই বলে শুক পাখি তার কীৰ্তন চালিয়ে যেতে লাগল ৷ গৌর! গৌর! গৌর!গৌর!
এই শুক পাখি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রকৃত স্বরূপ জানত ৷ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, রাধাকৃষ্ণ নহে অন্য! শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু রাধাকৃষ্ণের মিলিত তনু ৷ তাই শ্রীচৈতন্য দেব এত কৃপাময়, তিনি যে এই জড়জগতে অন্তরঙ্গলীলা উপভোগ করতে এসেছেন শুধু তা নয় ৷ তিনি আমাদের কৃপাদান করার জন্য কৃষ্ণভাবনার অমৃত দান করার জন্য এসেছেন ৷৷
হরেকৃষ্ণ......
No comments:
Post a Comment