"য ইদং পরমং গুহ্যং মদ্ভক্তেষু অভিধাসতি।
ভক্তিং ময়ি পরাং কৃত্বা মামেবৈষ্যত্যসংশয়ঃ।।(গীতা ১৮/৬৮)
অনুবাদ: আমাকে পরা ভক্তি করে,যিনি এই পরম গুহ্যশাত্র(গীতা গ্রন্থ) আমার ভক্তদের কাছে ব্যাক্ষ্যা করবেন, তিনি আমাকেই পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।।
অন্তরের গভীরতা সহ যদি কেহ 'গীতা' পাঠ অধ্যয়ন করেন,পাঠ করেন,বা শোনেন, তবে তিনি তার অর্থ ও ভাব না বুঝলেও ভগবান ও ভক্তের অর্থ ও ভাব বুঝে নিতে সক্ষম হন। তাই ভগবান বলছেন যে, আমি তার পাঠরুপ,অধ্যায়নরুপ জ্ঞানযজ্ঞের দ্বারা পূজিত হয়ে থাকি, ঠিক যেভাবে প্রেমিক ভক্তকে যদি কেউ ভগবানের কথা শোনায়,তার কথা স্মরন করায়, তবে ভক্তও অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে থাকে, ঠিক সেভাবেই যদি কেউ 'গীতা' পাঠ করেন ও অন্যন্যদের শোনায়,সেই পাঠক ও শ্রোতারাও ভক্তিযোগে ভগবানের পরমভক্ত হয়ে ওঠেন, ভগবান তাদের উপর প্রসন্ন হয়ে তাদের শুভলোক প্রদান করেন।
যার পঠন এবং বচনে পূজ্যভাব থাকে,সন্মানভাব থাকে, যিনি
শ্রদ্ধাবিশ্বাস ও ভক্তিরসে অবগাহিত হয়ে এই গীতা গ্রন্থ পাঠ করে ভক্তগনকে, তার ব্যাক্ষা শোনাবেন কোন সন্দেহ নেই তিনি পরমাত্মায় বিলীন হবেন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশে এক ভক্ত বিধিবদ্ধভাবে প্রত্যহ আশ্রমে আগত ভক্তদের গীতা পাঠ করে তার ব্যাখা শোনাতেন। শুদ্ধভাবে, সঠিক উচ্চারনসহ তিনি গীতা পাঠ করতে পারতেন না। কিন্তু, প্রত্যহ গীতা পাঠ করার সময় তিনি অনন্যমনাবশত ভাবের ঘোরে নয়নাসিক্ত হয়ে গীতাপাঠের ভুল ব্যাক্ষা শোনাতেন।
সঠিকভাবে গীতা পাঠ না করার জন্য, পরশ্রীকাতর অপর কোন এক ভক্ত, শ্রীচৈতন্যদেব-এর কাছে তার বিরুদ্ধে নালিশ করে বলে, প্রভু আপনি যাকে গীতাপাঠের দায়িত্ব দিয়েছেন, সে অত্যন্ত পাষন্ড,একে তো শুদ্ধভাবে গীতা পাঠ করতে পারে না,তার উপর কান্নাকাটিসহ নানারকম ভন্ডামিও করে।
শ্রীচৈতন্যদেব ওই ভক্তকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন------'তুমি গীতা পাঠ করে ভক্তদের ব্যাক্ষা শোনাও,তার অর্থ তুমি নিজে বুঝতে পারতো?
সবিনয়ে সেই ভক্ত বললেন---------'না প্রভু ! তখন মহাপ্রভু আবার জিজ্ঞাসা করলেন------'তাহলে কাঁদ কেন?'
তিনি উত্তর দিলেন--------প্রভু, আমি যখন অর্জুন উবাচ পড়ি, তখন আমি সরাসরি প্রত্যক্ষ করি অর্জুন ভগবানকে জিজ্ঞাসা করছেন,আবার যখন শ্রীভগবানুবাচ পড়ি, তখন ভগবান স্বয়ং অর্জুনকে উত্তর দিচ্ছেন,সেই দৃশ্য সরসরি প্রত্যক্ষ করি'------এই ভাবে অর্জুন ও ভগবানকে সরাসরি প্রত্যক্ষীভূত হয়ে থাকি। তাদের কথাপোকন বুঝতে না পারলেও, এই নয়নাভিরাম দৃশ্যে অর্জুন ও ভগবানকে একত্রে প্রত্যক্ষ করে সুন্তুষ্ট হয়ে চোখের জলে প্লাবিত হয়ে থাকি।
শ্রীচৈতন্যদেব ভক্তের এই শ্রদ্ধা-ভক্তি, অন্তরের ঐকান্তিকতার সারার্থ উপলব্ধি করে মহাপ্রভু প্রসন্ন হয়েছিলেন। এই ভাবে শ্রদ্ধা-ভাবে বিভোর হয়ে যিনি গীতা পাঠ করেন, তার মুক্তিতে কোন সন্দেহ থাকেনা, তিনি সমস্ত পাপমুক্ত হয়ে পুন্যবানদের কাঙ্ক্ষিত পুন্যলোক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন।
'জয় শ্রীকৃষ্ণ'
Saturday, June 24, 2017
গীতা পাঠ করলে কি হয়.?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment