Hare Krishna

Hare Krishna
Welcome to ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ

Saturday, May 13, 2017

গরু ও গোমাংস সম্পর্কে হিন্দুধর্মের মতামত কি?

উত্তর: পৃথিবীর উপকারী প্রানীর মধ্যে গরু
অন্যতম। বৈদিক ঋষিগণ এই মহৎ প্রাণীকে হত্যা ও
ভক্ষণ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকতে
বলেছেন। কিন্তু বর্তমান একটি শ্রেণি প্রচার করে
যে বেদ গোমাংস ভক্ষণের অধিকার দিয়েছে।
এই ভুল ধারণার পেছনে রয়েছে বেদের ভুল
অনুবাদ। ‘গো’ শব্দটি দ্বারা সংস্কৃতে বিভিন্ন অর্থ
বুঝায়। যেমন : আলো, রশ্মি, জল, গরু ইত্যাদি। গো
মানে সর্বদা গরু করাতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যা
পুঁজি করে এক শ্রেণির মানুষ মিথ্যা প্রপোগান্ডা
চালাচ্ছে। অনেক হিন্দুধর্মবিদ বলে থাকেন যে
একসময় গোমাংস খাওয়া হতো পরে নিষিদ্ধ করা হয়
কিন্তু এটা চরম ভুল ধারণা। নিচের সূত্র্রগুলো
দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে আশা করি-
প্র নু বোচং চিকিতুষে জনায়,
মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট।। ঋগ্বেদ, ৮/১০১/১৫
অনুবাদ:
পরমেশ্বর উপদেশ দিচ্ছেন- আমি জ্ঞানবান
পুরুষের নিকট বলিতেছি যে নিরপরাধ অহিংস পৃথিবী-
সদৃশ গো জাতিকে হনন করিও না।
সংজগ্মানা অবিভ্যুষী রস্মিন্ গোষ্ঠে করীষিনীঃ।
বিভ্রতীঃ সোম্যং মধ্বনমীবা উপেতন।।
অথর্ববেদ, ৩/১৪/৩
অনুবাদ:
এই গোশালায় ধেনু সকল নির্ভয়ে থাকুক,
একসঙ্গে মিলিয়া বিচরণ করুক, গোময় উৎপন্ন
হোক, অমৃতময় দুগ্ধ ধারণ করুক এবং নীরোগ হইয়া
আমার নিকট আসুক।
যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পূরুষম্।
তাং ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসো
অবীরহা।। অথর্ববেদ, ১/১৬/৪
অনুবাদ:
যদি তুমি আমাদের গরু, অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা কর,
তবে তোমাকে সীসকের গুলি দ্বারা বিদ্ধ করিব।
আমাদের সমাজের মধ্যে বীরদের বিনাশকারী
কেহই না থাকে।
ঋগ্বদে গোহত্যা কে মানুষ হত্যার সমকক্ষ বলা
হয়েছে ও এর সাথে জড়িতদের শাস্তি দিতে বলা
হয়েছে । ঋগ্বেদ, ১০/৮৭/১৬
মানুষ বিচার বুদ্ধি দিয়ে খাদ্যাখাদ্য গ্রহণ করবে নতুবা
মানুষ আর পশুতে প্রভেদ কোথায়। আর যারা
গোমাংস ভক্ষণের পক্ষে সাফাই গায় তারা বেশির
ভাগই ভিন্ন ধর্মের আর কিছু অল্পজ্ঞানী তথাকথিত
সেক্যুলার হিন্দু এদের মধ্যে রয়েছে।

No comments:

Post a Comment