পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা লীলা পাঠ
করলে জানা যায় যে তাঁর ১৬১০৮ জন মহিষী
(স্ত্রী ) ছিলেন । এই লীলাটি অনেক অজ্ঞানী
এবং নীচ ব্যক্তিদের কাছে বির্তকিত বলে মনে হয়
। এছাড়া অনেকেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে
এই কারনে কামুক , নীচ কিংবা প্রেমের দেবতা
বলে মনে করে । কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের এই বিশেষ লীলার পিছনে গভীর
তাত্পর্য বিদ্যমান যা আমাদের জড় কুলষিত হ্বদয়ে
উপলব্ধি করা অসম্ভব ।
দ্বাপর যুগে নরকাসুর নামক এক অসুর ১৬১০০জন
যুবতী অবিবাহিত রাজকন্যাকে অপহরন করে তার
প্রসাদের কারাগারে বন্ধী করে রেখেছিল ।
তখন ইন্দ্রদেবের অনুরোধে শ্রীকৃষ্ণ একাই
প্রাগজ্যোতিষপুরের (বর্তমানে আসাম রাজ্যের
তেজপুর ) সেই অসুরের নিবাসস্থল আক্রমণ
করে ধ্বংস করেন এবং নরকাসুরকে সুদর্শন চক্র
দ্বারা মস্তক ছিন্ন করে ১৬১০০ রাজকন্যাকে মুক্ত
করেন ।
সেই সময় নারীদের জন্য কিছু কঠোর সামাজিক
বিধি নিষেধ ছিল । বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত হোক -
ঘরের সদস্যদের অনুমতি ব্যতীত সূর্যাস্তের পর
ঘরের বাহির থাকলে সে অসতী হিসাবে অপবাদ
পেত । এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সামনে সেই অসহায়
রাজকন্যারা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বিবাহ
করার জন্য আকুল অনুরোধ করেন । করুণাসিন্ধু
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তথন সেই অসহায় নারীদের
আকুল প্রার্থণায় সারা দেন এবং দ্বারকায় নিয়ে গিয়ে
খুব ধুমধাম এবং ঐশ্বর্যের সাথে তাদের বিবাহ
করেন । বিশ্বকর্মা সেই ১৬১০০ নতুন রাণীদের
জন্য ১৬১০০টি নতুন মনোরম প্রাসাদ তৈরি করে
দেন । সেই ১৬১০০অপহ্বত রাজকুমারীদের
অসহায় অবস্থা হতে দ্বারকার রাণী হিসেবে স্থান
দেয়া এই কাজ শুধু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের
পক্ষেই সম্ভব ।
শ্রীকৃষ্ণের সমস্থ স্ত্রীগণই মূলত ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের নিত্যভক্ত যারা ভাগবতধামে
শ্রীকৃষ্ণের নিত্যসেবায় রত ছিলেন । পরমেশ্বর
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই জড জগতের লীলা
পরিস্ফুটনের জন্য মূলত তারা এই সকল লীলার
অবতারণা করেছিলেন । তাই আমাদের সীমিত
ইন্দ্রিয় দিয়ে ইন্দ্রয়ের অধীশ্বর শ্রীকৃষ্ণের
লীলার কোন অজ্ঞানপ্রসুত মন্তব্য করা উচিত নয়।
হরে কৃষ্ণ।।
Saturday, May 13, 2017
কেন শ্রীকৃষ্ণের ১৬১০৮ পত্নী ?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment