উত্তরঃ অষ্টাঙ্গযোগ হচ্ছে মন ও ইন্দ্রিয়গুলিকে সংযত করার একটি পন্থাবিশেষ। তবে এই যোগ সকলের পক্ষে অনুশীলন করা কষ্টকর, বিশেষ করে এই কলিযুগে তা অনুশীলন করা এক রকম অসম্ভব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই অধ্যায়ে অষ্টাঙ্গ-যোগের পদ্ধতি বর্ণনা করে অবশেষে দৃঢ়ভাবে প্রতিপন্ন করেছেন যে, কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম বা কর্মযোগ অষ্টাঙ্গযোগ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এই জগতের সকলেই তার স্ত্রী, পুত্র, পরিজনের ভরণ-পোষনের জন্য কর্ম করে। ব্যক্তিগত স্বার্থ অথবা ভোগবাঞ্ছা ব্যাতীত কেউই কোন কর্ম করে না। কিন্তু সাফল্যের মানদণ্ড হচ্ছে কর্মফলের প্রত্যাশা না করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করার জন্য কর্ম করা। প্রতিটি জীবই ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই ভগবানের সেবা করাই হচ্ছে তাদের একমাত্র কর্তব্য। শরীরের বিবিধ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পুর্ণ শরীরের পালন-পোষণের জন্য কর্ম করে, তাদের আংশিক স্বার্থের জন্য নয়। তেমনই, যে মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থের পরিবর্তে পরব্রক্ষের তৃপ্তির জন্য কর্ম করেন, তিনি হচ্ছেন প্রকৃত সন্ন্যাসী এবং প্রকৃত যোগী।
ভ্রান্তিবশত, কিছু সন্ন্যাসী মনে করে যে, তারা সব রকম জাগতিক কর্তব্য থেকে মুক্ত হয়েছে এবং তাই তারা অগ্নিহোত্র যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান করা ত্যাগ করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা স্বার্থপরায়ণ, কারণ তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বিশেষ ব্রক্ষসাযুজ্য লাভ করা। এই সমস্ত বাসনা জাগতিক কামন থেকে মহত্তর হলেও তা স্বার্থশূন্য নয়। ঠিক তেমনই, সব রকমের জাগতিক ক্রিয়াকলাপ পরিত্যাগ করে, অর্ধনীমিলিত নেত্রে যোগী যে তপস্যা করে চলেছেন, তাও ব্যাক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত। তিনিও তাঁর আত্মতৃপ্তির আকাঙ্ক্ষার দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত ভক্তই হচ্ছেন একমাত্র যোগী, যিনি পরমেশ্বরের তৃপ্তিসাধন করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কর্ম করেন। তাই, তাতে একটুও স্বার্থসিদ্ধির বাসনা থাকে না। শ্রীকৃষ্ণের সন্তষ্টি বিধান করাটাই তাঁর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি, তাই, তিনি হচ্ছেন যথার্থ যোগী, যথার্থ সন্ন্যাসী।
Friday, April 20, 2018
প্রশ্নঃ প্রকৃত সন্ন্যাসী এবং যোগী সম্বন্ধে ভগবান কি বলেছিলেন?
Hey visitor! I'm Satyajit Roy holding a big name of famous indian film director! but not for nothing at all ��. Trying to write something about something.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment