শ্রীবৃন্দাবন হচ্ছে সনাতন বা হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনে, আমি বৃন্দাবন ছেড়ে একদন্ড কোথাও থাকি না। নিম্নে বৃন্দাবন ধামতত্ত্ব বর্ণিত হলঃ
চুরাশী ক্রোশেতে ব্যপ্ত শ্রীব্রজমন্ডল।
তাতে বৃন্দাবন ধাম অতি রম্যস্থল।।
ছয় ঋতুর সুভাশিত সুন্দর কুসুমে।
সুশোভিত সুরভিত নানা বিহঙ্গমে।।
কালিন্দী যমুনা স্পর্শে মৃদু সমীরণ।
প্রবাহিত হয়ে করে আনন্দ বর্ধণ।।
রোগ-শোক-মোহ-জরা-ক্ষয়-মৃত্যু আদি।
সংসার জ্বালা যন্ত্রণা নাহি কোন ব্যাধি।।
কল্প বৃক্ষমূলে মণি-মাণিক্য উজ্জ্বল।
ভূখণ্ড উপরি যোগপীঠ অষ্টদল।।
সেই পদ্ম মধ্যভাগে প্রাতঃসূর্য সম।
প্রভাবশালী শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র থাকে অধিষ্ঠান।।
সচ্চিদানন্দময় এই অপ্রাকৃত ধামে।
গো-গোপ গোপীসহ ক্রীড়াক্রমে।।
বৃন্দাবন ভিন্ন অন্য একাদশ বনে।
শ্রীকৃষ্ণ করেন লীলা সদা ভক্ত সনে।।
ভদ্র, বিল্ব, ভাণ্ডীর, গোকুল ঝাউবন।
তাল, খদির, বহুলা, কুমুদ, কাম্য, মধুবন।।
বৃন্দাবন মধ্যে দুই ক্ষুদ্র বন রয়।
নিধুবন, কুঞ্জবন, আছে পরিচয়।।
বৃন্দাবন হতে তিন ক্রোশ দক্ষিণেতে।
শ্রীমথুরা ধাম তথা আছে বিরাজিতে।।
পশ্চিমেতে নয় ক্রোশে রয় রাধাকুন্ড।
রাধাকুন্ড অগ্নি-কোণে আছে শ্যামকুন্ড।।
পশ্চিমের চৌদ্দ ক্রোশে নন্দীশ্বর গ্রাম।
শ্রীকৃষ্ণের পিতা নন্দ মহারাজ মোকাম।।
নন্দীশ্বর অর্ধক্রোশ যাবট গ্রামেতে।
শ্রীমতির শ্বশুড়ালয়, স্বর্ণ মন্দিরেতে।।
নন্দীশ্বর দক্ষিণেতে দুই ক্রোশ দূর।
শ্রীরাধার পিতৃগৃহ বৃষভানুপুর।।
তার তিন ক্রোশ পূর্বে সূর্যকুন্ড হয়।
শ্রীরাধিকা সূর্যপূজা যথায় করয়।।
তার দুই ক্রোশ পূর্বে রাধাকুন্ড আছে।
নয় ক্রোশ বৃন্দাবন পূর্বে বলা গেছে।।
রাধাকুন্ড তীরে রম্য বন উপবন।
পূর্ব তটে রাসস্থলী বিলাস ভবন।।
শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্ম হৃদে করি আশ।
বৃন্দাবন তত্ত্ব কহে শ্রীচরণ দাস।।
নিবেদনেঃ- শ্রীমদ্ভগবদগীতা স্কুল।।
No comments:
Post a Comment