অালোচনাঃ
অামরা ছোট বেলায় শিক্ষেছি, অন্যের জিনিস না বলে নিলে চুরি করা বলে। শ্রী কৃষ্ণ সমস্ত বিশ্ব চরাচরের একমাত্র মালিক ও ভোক্তা (গীতা ৫/২৯)। অতএব, তার ক্ষেত্রে চুরির প্রশ্নই ওঠে না। বরং তিনি যদি কারো কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহন করেন, তবে তা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। ব্রজবাসীরা কৃষ্ণকে প্রাণাধিক ভালোবাসতেন। তাদের অানন্দ বিধানের জন্য শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে বহুবিধ লীলা প্রকাশ করেছেন। এমনকি তারা অপেক্ষায় থাকতেন কখন ভগবান তাদের গৃহে ননী চুরি করতে অাসবেন। এজন্য ভগবান ব্রজজন রঞ্জন নামে প্রসিদ্ধ। শুধু ব্রজবাসী নয়, কৃষ্ণ এমন কি অাপনার গৃহ থেকেও যা ইচ্ছা গ্রহন করতে পারেন।
ভগবানের জন্ম ও কর্ম দিব্য। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, এমনকি চোরের মধ্যেও তিনি শ্রেষ্ঠ চোর। তিনি ব্রজবাসীদের গৃহ থেকে ননী চুরি করার ছলে তাদের হ্নদয় চুরি করেন, অার তার শরনাগত ভক্তদের অনেক জন্মের সঞ্চিত পাপরাশি তিনি চুরি করেন। তাই অামাদের উচিৎ তার অপ্রাকৃত নাম জপ করে অাকুল ভাবে প্রার্থনা করা -- হে শ্রেষ্ঠ চোর, তুমি কৃপা করে অামার হ্নদয়ের সমস্ত জড় কলুষ হরণ করো। অধিকন্ত এই লীলার দ্বারা ভগবান অামাদের এই শিক্ষা দিচ্ছেন, যাতে অামরা সবকিছু ভগবানকে নিবেদন করে গ্রহণ করি, অন্যথায় তা চুরি বলে গণ্য হবে (গীতা ৩/১২)।
@@ হরে কৃষ্ণ @@
No comments:
Post a Comment