উত্তরঃ
শ্রীমদ্ভাগবতের ( ৪/১৯/৩৬ ) শ্লোকের ব্যাখ্যা এই যে- মা কালী হলেন শিবের সাধ্বী স্ত্রী । তিনি শিবের উচ্ছিষ্ট গ্রহন করেন। শিব নিরামিষাশী, প্রসাদভোজী। তাই মা কালী কখনও আমিষাশী নন। শিব হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব। তিনি বিশেষ কৃপা করে ভুত-প্রেত পিচাশদেরও আশ্রয় দিয়েছেন। তেমনি মা কালী যক্ষিণী , ডাইনিদেরও আশ্রয় দিয়েছেন। এই শ্রেনীর প্রানীরা জগতে যাতে বেশি উৎপাত না করে, সেই জন্য রক্ত মাংস হাড় ভক্ষণের প্রবল প্রবণতাকে সংযত করার উদ্দেশে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। তম গুন সম্পন্ন মানুষদের জন্য বলি প্রথা, যার বিধান হল অমাবস্যার গভীর রাতে মহামায়ার উগ্ররুপা কালী মূর্তির সামনে পাঁঠা বলি দিয়ে তার মাংস ভক্ষণ করা হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মাংসাহার নিয়ন্ত্রনের জন্যই । কালক্রমে নানা ভাবে লোকে বলি প্রথার দোহাই দিয়ে অসংখ্য প্রানী হত্যা করতে থাকলে ভগবান শ্রী বিষ্ণু বুদ্ধ রুপে আবির্ভূত হয়ে বলি প্রথা নিষিদ্ধ করেন।
আসুরিক প্রবৃত্তির মানুষেরা জাগতিক লাভের জন্য কালী পূজা করে। কিন্তু তাদের সেই পুজার নামে তারা যেই পাপ করে , টা থেকে তারা অব্যাহতি পায় না আমৃত্যুর পর্যন্ত।
আর হ্যাঁ , প্রতিমার সামনে বলি দেয়া নিষিদ্ধ।
এখন আপনিই বিচার করুন, মা কালীর পুজায় বলি দেওয়া কতখানি পাপ এবং গৃহীত কাজ।
সংগ্রহ করে হয়েছেঃ জাগো হিন্দু পরিষদ প্রকাশিত #সর্বশ্রেষ্ঠ_সনাতন বই থেকে।
জয় মা কালী,
মায়ের পূজা সাত্ত্বিক ভাবে করা হোক, রাজসিক তামসিক নয় ।।
No comments:
Post a Comment