জীবনের উদ্দেশ্য ঠিক তাই, যেখানে
থাকবেনা কোন কাম, লোভ, মোহ, হিংসা,
ক্রোধ ও আত্মগ্লানি। আর যেখানে
সত্যিকার অর্থে ধারণ করা হবে ধর্মকে।
সরল জীবনযাপন ও অন্যের হিতসাধনের
মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সুখ নিহিত রয়েছে।
সরল কার্য কখনো আপনাকে জটিল
পর্যায়ে উন্নিত করবেনা যদি আপনি যথেষ্ট
সংযমী হোন। আর জটিল কার্যসমূহের ফল
সর্বোপরি জটিলই হয়ে থাকে।
মহাপুরুষরা সর্বদা যে পথ অবলম্বন
করেছেন তার মধ্যে উল্লেখিত গুণগুলোর
অন্যথা খুজে পাই না।
জীবনে চলার পথে প্রায়শই কিছু মহান
ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য লাভ করেছি যারা
ষড়রিপুকে বশে এনে ধৈর্য ও মহৎকর্মের
দ্বারা নিজেদের স্থিত করতে সক্ষম
হয়েছেন।
প্রায়শই নিজেকে তাদের পথে চালানোর
আপ্রাণ প্রয়াস করে থাকি, কিন্তু মাঝে মাঝে
এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় যেখানে
নিজেকে সংবরণ করা খুব কঠিন কার্য হয়ে
উঠে।
ঠিক সেই পর্যায়ে বুঝা যায় আসলে সরল
জীবনযাপন আক্ষরিক অর্থে যতোটা সরল
অন্তর্নিহিত অর্থে ততোধিক জটিল থেকে
জটিলতর।
আপনি বিত্তশালী হয়েও ধনরত্নের প্রদর্শন
ও এর গর্ব থেকে নিজেকে কতোখানি দূরত্বে
রাখতে পেরেছেন তাই হলো আপনার
সার্থকতা। আপনি ক্ষমতাধারী হয়েও
ক্ষমতাকে সংবরণ করে কতোখানি
সদাচারী ও দয়াশীল হতে পেরেছেন তাই
আপনার সার্থকতা।
পুরাকালে রাজর্ষিগণ তাই করতেন। রাজর্ষি
বলতে যারা রাজা হয়েও ঋষির জীবন
অবলম্বন করেন তাদেরকে বুঝায়।
"রামায়ণে" তেমনি একজন মহৎপ্রাণ
রাজর্ষির কথা উল্লেখ রয়েছে যার নাম
ছিলো 'জনক'।
রাজর্ষি জনক সংসারে থেকেও তার জীবন
ঋষিদের ন্যায় অতিবাহিত করেছিলেন।
রাজা হয়েও তিনি 'রজ' ও 'তম'গুনের ঊর্ধ্বে
ছিলেন। এসব গুণের পালন নিজ ধর্ম
পালনেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
রাজা হয়েও যিনি হিংসা, লোভ, মোহ, কাম,
ও ক্রোধের ঊর্ধ্বে থেকে বদান্যতা প্রদর্শন
করতে পারেন সেখানে সাধারণ মনুষ্য
হয়েও এদিক দিয়ে আমরা অতিব দরিদ্র।
উপরন্তু আমরা কিঞ্চিৎ কার্যে লাঠিপ্রদর্শন,
ও উগ্রপন্থা অবলম্বনে খুবি উদার।
হিংসা, কাম, ক্রোধ, লোভ ও মোহ-কে
বিসর্জন দিয়ে সর্বদা উদার ও মহানুভব হওয়াই আমাদের ধর্ম। ধর্মের পথে চলা
অধিক সংকটময় হলেও নিজের সর্বস্ব
দিয়ে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে তবেই ধর্ম
আমাদেরকে রক্ষা করবে।
"ধর্ম রক্ষতে রক্ষিতা"---যে ধর্মকে রক্ষা করে
ধর্মও তাকে রক্ষা করে।।
থাকবেনা কোন কাম, লোভ, মোহ, হিংসা,
ক্রোধ ও আত্মগ্লানি। আর যেখানে
সত্যিকার অর্থে ধারণ করা হবে ধর্মকে।
সরল জীবনযাপন ও অন্যের হিতসাধনের
মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সুখ নিহিত রয়েছে।
সরল কার্য কখনো আপনাকে জটিল
পর্যায়ে উন্নিত করবেনা যদি আপনি যথেষ্ট
সংযমী হোন। আর জটিল কার্যসমূহের ফল
সর্বোপরি জটিলই হয়ে থাকে।
মহাপুরুষরা সর্বদা যে পথ অবলম্বন
করেছেন তার মধ্যে উল্লেখিত গুণগুলোর
অন্যথা খুজে পাই না।
জীবনে চলার পথে প্রায়শই কিছু মহান
ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য লাভ করেছি যারা
ষড়রিপুকে বশে এনে ধৈর্য ও মহৎকর্মের
দ্বারা নিজেদের স্থিত করতে সক্ষম
হয়েছেন।
প্রায়শই নিজেকে তাদের পথে চালানোর
আপ্রাণ প্রয়াস করে থাকি, কিন্তু মাঝে মাঝে
এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় যেখানে
নিজেকে সংবরণ করা খুব কঠিন কার্য হয়ে
উঠে।
ঠিক সেই পর্যায়ে বুঝা যায় আসলে সরল
জীবনযাপন আক্ষরিক অর্থে যতোটা সরল
অন্তর্নিহিত অর্থে ততোধিক জটিল থেকে
জটিলতর।
আপনি বিত্তশালী হয়েও ধনরত্নের প্রদর্শন
ও এর গর্ব থেকে নিজেকে কতোখানি দূরত্বে
রাখতে পেরেছেন তাই হলো আপনার
সার্থকতা। আপনি ক্ষমতাধারী হয়েও
ক্ষমতাকে সংবরণ করে কতোখানি
সদাচারী ও দয়াশীল হতে পেরেছেন তাই
আপনার সার্থকতা।
পুরাকালে রাজর্ষিগণ তাই করতেন। রাজর্ষি
বলতে যারা রাজা হয়েও ঋষির জীবন
অবলম্বন করেন তাদেরকে বুঝায়।
"রামায়ণে" তেমনি একজন মহৎপ্রাণ
রাজর্ষির কথা উল্লেখ রয়েছে যার নাম
ছিলো 'জনক'।
রাজর্ষি জনক সংসারে থেকেও তার জীবন
ঋষিদের ন্যায় অতিবাহিত করেছিলেন।
রাজা হয়েও তিনি 'রজ' ও 'তম'গুনের ঊর্ধ্বে
ছিলেন। এসব গুণের পালন নিজ ধর্ম
পালনেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
রাজা হয়েও যিনি হিংসা, লোভ, মোহ, কাম,
ও ক্রোধের ঊর্ধ্বে থেকে বদান্যতা প্রদর্শন
করতে পারেন সেখানে সাধারণ মনুষ্য
হয়েও এদিক দিয়ে আমরা অতিব দরিদ্র।
উপরন্তু আমরা কিঞ্চিৎ কার্যে লাঠিপ্রদর্শন,
ও উগ্রপন্থা অবলম্বনে খুবি উদার।
হিংসা, কাম, ক্রোধ, লোভ ও মোহ-কে
বিসর্জন দিয়ে সর্বদা উদার ও মহানুভব হওয়াই আমাদের ধর্ম। ধর্মের পথে চলা
অধিক সংকটময় হলেও নিজের সর্বস্ব
দিয়ে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে তবেই ধর্ম
আমাদেরকে রক্ষা করবে।
"ধর্ম রক্ষতে রক্ষিতা"---যে ধর্মকে রক্ষা করে
ধর্মও তাকে রক্ষা করে।।
No comments:
Post a Comment