তার মনে আনন্দের জোয়ার মথুরাতে প্রভু কে দর্শন করবে। সব দুঃখ কষ্ট মুছে যায়। গভীর আনন্দ তাকে এত টাই দুর্বল হয়ে যায় যে চলতে চলতে মানুষহীন এক অরন্যে এসে পৌঁছায়। আর লক্ষহীন ভাবে এক কুঁয়োতে পড়ে যায়। কিন্তু সে আনন্দে গান গেয়ে যায় আর মুখে কৃষ্ণ নাম। কিন্তু কয়েক দিন পর ক্ষুধায় তার জীবন অনাড়ম্বর হয়ে গেছে। হঠাৎ একদিন এক বালক এক ঘটি দুধ নিয়ে বনের মধ্য দিয়ে
Wednesday, September 11, 2019
কেমন ভক্তি থাকলে ভগবানের দেখা পাবেন? জেনে নিন সেই রোমাঞ্চিত কৃষ্ণ কাহিনী
তার মনে আনন্দের জোয়ার মথুরাতে প্রভু কে দর্শন করবে। সব দুঃখ কষ্ট মুছে যায়। গভীর আনন্দ তাকে এত টাই দুর্বল হয়ে যায় যে চলতে চলতে মানুষহীন এক অরন্যে এসে পৌঁছায়। আর লক্ষহীন ভাবে এক কুঁয়োতে পড়ে যায়। কিন্তু সে আনন্দে গান গেয়ে যায় আর মুখে কৃষ্ণ নাম। কিন্তু কয়েক দিন পর ক্ষুধায় তার জীবন অনাড়ম্বর হয়ে গেছে। হঠাৎ একদিন এক বালক এক ঘটি দুধ নিয়ে বনের মধ্য দিয়ে
Tuesday, September 10, 2019
সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল গ্রন্থসমূহ
২.সামবেদ. মন্ত্রসংখ্যা- ১,৮৯৩
৩.যজু:বেদ. মন্ত্র সংখ্যা- ১,৯৭৫
৪.অথর্ববেদ. মন্ত্রসংখ্যা- ৫,৯৭৭
১. আয়ুর্বেদ. ২.ধনুর্বেদ. ৩.গন্ধর্ববেদ. ৪.অর্থশাস্ত্র.
১.শিক্ষা- পাণিনী
২.কল্প- বিভিন্ন ঋষি সম্প্রদায়
৩.ব্যাকরণ- পাণিনী.
৪.নিরুক্ত- যাস্ক.
৫.ছন্দ- পিঙ্গলাচার্য.
৬.জ্যোতিষ- গর্ণ.
১.পুরাণ. ২.মীমাংসা. ৩.ন্যায়. ৪.ধর্মশাস্ত্র
১.আরণ্যক. ২.উপনিষদ.
১.বৃহদারণ্যক মন্ত্র- ৪৩৫.
২.ছান্দোগ মন্ত্র- ৬৬৮
৩.তৈত্তিরীয় মন্ত্র- ৬৮.
৪.ঐতরেয় মন্দ্র- ৩৩
৫.ঈশোপনিষ মন্ত্র- ১৮
৬.কেন উপনিষদ- ৩৫
৭.কঠো উপনিষদ- ১১৯.
৮.প্রশ্ন উপনিষদ- ৬৭
৯.মুণ্ডকোপনিষদ-
১০.মাণ্ডুক্যউপন
১১.শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ. মন্ত্র. - ১১৩.
১২.কৌষীতকী উপনিষদ মন্ত্র. - ৪৯.
১.সাংখ্যা দর্শন - মহর্ষি কপিল.
২.যোগ দর্শন- পাতঞ্জলি.
৩.ন্যায় দর্শন - গৌতম.
৪.বৈশেষিক দর্শন-কণাদ.
৫.পূর্ব মীমাংসা - জৈমিনী.
৬.উত্তর মীমাংসা বেদান্ত দর্শন- ব্যাসদেব.
১.কর্ম মীমাংসা ২.ব্রহ্ম মীমাংস বা ব্রহ্মসূত্র.
১.মনু সংহিতা
২.অত্রি সংহিতা.
৩.বিষ্ণু সংহিতা.
৪.হরিত সংহিতা.
৫.যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা.
৬.পরাশর সংহিতা.
৭.ব্যাস সংহিতা.
৮.উশনা সংহিতা.
৯.অঙ্গিরা সংহিতা.
১০.যম সংহিতা.
১১.অপস্তম্ভ সংহিতা
১২.সম্বর্ত সংহিতা.
১৩.কাত্যায়ন সংহিতা.
১৪.বৃহস্পতি সংহিতা.
১৫.শঙ্খ সংহিতা
১৬.লিখিত সংহিতা.
১৭.দক্ষ সংহিতা.
১৮.গৌতম সংহিতা.
১৯.শতাতপ সংহিতা.
২০.বশিষ্ট সংহিতা.
১.মহাপুরাণ. ২.উপ-পুরাণ.
১.ব্রহ্ম পুরাণ মন্ত্রসংখা-১০,০
২.শিব পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৪
৩.পদ্ম পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৫৫
৪.বিষ্ণু পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৩
৫.ভাগবত মহাপুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৮
৬.মার্কণ্ডেয় পুনাণ মন্ত্রসংখ্যা-৯,
৭.অগ্নি পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৫,
৮.ভবিষত পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৪
৯.ব্রহ্মবৈবর্ত্
১০.মৎস পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৪
১১.লিঙ্গ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১১
১২.বরাহ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৪
১৩.কুর্ম্ম পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৭
১৪.গরুড় পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১৯
১৫.ব্রহ্মান্ড পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১২
১৬.নারদীয় পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-২৫
১৭.স্কন্ধ পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-৮১
১৮.বামন পুরাণ মন্ত্রসংখ্যা-১০
Monday, September 9, 2019
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, হিন্দুরা কেন মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলে?
সনাতন ধর্মে দেবদেবীর সংখ্যা কত?
সংসারটা হচ্ছে মধুচাক আর বিষয়- আশয় হচ্ছে সর্প স্বরুপ
ভগবান তুমি তো তোমার মোহন বাঁশির সুরে সকলকেই আকর্ষণ করছো।
তবু্ও সবাই কি সেই বাঁশির সুরে আকৃষ্ট হচ্ছে?
শ্রীকৃষ্ণ সেই সময় যুধিষ্ঠিরের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলেন না।
অপরাহ্নে তিনি যুধিষ্ঠিরকে সঙ্গে নিয়ে একটা বনের মধ্যে বেড়াতে গেলেন ।
বনের মধ্যে একটা গাছে মৌচাক ছিল। চাকের মধ্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা মধু ঝরে পড়ছিল।
একটি লোক নিচে দাঁড়িয়ে সেই মধু হাঁ করে খাচ্ছিল। মধু পানে সেই ব্যক্তি এমনি মত্ত হয়েছিল যে, তার বাহ্য জ্ঞান একরকম রহিত হয়েছিল।
একটি প্রকাণ্ড অজগর সর্প মুখ হাঁ করে ওই লোকটার দিকে আসছিল।
যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন -- "এ লোকটিকে তো এখনি সাপে খেয়ে ফেলবে।"
শ্রীকৃষ্ণ বললেন - "লোকটিকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে ডাকুন।"
যুধিষ্ঠির লোকটিকে ডাকতে লাগলেন। কিন্তু লোকটি মধু পানে এমন মত্ত ছিল যে, যুধিষ্ঠিরের ডাক শুনতেই পেল না।
যুধিষ্ঠির পুনরায় লোকটির কাছে গিয়ে চিৎকার করে ডাকতে লাগলেন।
অনেকক্ষণ পর লোকটি বললো- " আর এক ফোঁটা। " কিন্তু এই অবসরে লোকটিকে সাপ গ্রাস করে ফেললো।
শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে বললেন -
" আপনি সে-সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন
কেন সবাই আমার বাঁশির সুরে আকৃষ্ট হয় না "
আপনি তো এই লোকটিকে এতো ডাকলেন কিন্তু আপনার ডাক এই লোকটি শুনলো না কি ?
# শিক্ষনীয়হলো : সংসারটা হচ্ছে মধুচাক আর বিষয়- আশয় হচ্ছে সর্প স্বরুপ।
সংসারের মধুপানে মত্ত হয়ে আমরা ভগবানের ডাক শুনতে পাচ্ছি না।
আমরা কেবল বলছি , আর কদিন পরে ছেলে উপযুক্ত হলেই, তার হাতে সংসারের ভার দিয়ে বাকি জীবনটা কেবল ভগবানের নাম করেই কাটাবো।
ছেলে উপযুক্ত হলে বললাম, পৌত্রের মুখ দেখতে পেলেই আমার সংসারের স্বাদ মিটে যেত।
পৌত্রের মুখ দেখতে পেয়ে বললাম, পৌত্রের বিবাহ দিতে পারলেই আমার সব কাজ শেষ।
এরূপ বলতে বলতেই মৃত্যু রূপ সর্প এসে সব গ্রাস করে ফেলে ।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম।।
দশ-অবতারের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
মা তুমি জানো,আমি এক জীববৈজ্ঞানিক। আমি এখন আমেরিকায়,মানব বিবর্তনের উপর কাজ করছি।
এই বিবর্তনের সিদ্ধান্ত কি?
চার্লস ডারউইন...
মা,তুমি জানো তার সম্পর্কে?
হ্যাঁ,আমি জানি ডারউইন সম্পর্কে। তবে তিনি যা-ই ব্যাখ্যা দিয়েছেন,তা সকলই সনাতন শাস্ত্রগ্রন্থের
ছেলে ব্যাঙ্গ করে বলল-হতে পারে মা?
তার মা সেই ব্যাঙ্গের প্রতিবাদ করে বললেন- যদি তুমি প্রকৃতই নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবো...
আচ্ছা,তুমি কি দশাবতার সম্পর্কে শুনেছ?
বিষ্ণুর দশ অবতার?
সম্পর্ক অবশ্যই আছে। শোনো,আমি তোমাকে বোঝাচ্ছি- তুমি এবং ডারউইন এখনও কোন বিষয়গুলি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ আছ।
এটা সকলকে বোঝাতে যে,জীবন জল থেকেই প্রথম শুরু হয়েছে।
ঠিক কি না?
এবার পুত্র মনোযোগ সহকারে শুনতে লাগল।
অর্থাৎ জীবন এবার জল থেকে ভূমির দিকে আসা শুরু করল।
প্রথম অবস্থায় উভচররূপে ( Amphibian) রইল। এই কচ্ছপই-
বিবর্তনকে সমুদ্র থেকে ভূমির দিকে নির্দেশ করছে।
অর্থাৎ সরীসৃপ ও পক্ষীর মধ্যবর্তী অবস্থা।
ছেলে এবার বড় বড় চোখ করে শুনতে লাগল,এবং "হ্যাঁ" বলে সহমতিও জানাল।
যা ধীরে ধীরে জংলী জীব থেকে,উন্নত বুদ্ধিমান জীবের বিবর্তনকে নির্দেশ করছে।।
যে লম্বায় অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারত।
তুমি কি জানো,সেই সময় দুই প্রকারের মানুষ ছিল- হোমোইরেক্টস (নরবানর) ও হোমোসেপিয়েন্স (মানব)। আর এই হোমোসেপিয়েন্সই বিবরতনের লড়াইয়ে জয়লাভ করে।
এই ব্যাখ্যাই তো দিয়েছেন "যোগ্যতমের উদবর্তন" রূপে- তোমার ডারউইন?
ছেলে তো দশাবতারের ব্যাখ্যার বিস্তার শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল।
"পরশুরাম" এলেন ষষ্ঠ অবতারে। যার মধ্যে ছিল শস্ত্র (কুড়াল) এর ক্ষমতা। যা নির্দেশ করে জঙ্গল ও গুহাবাসী মানুষকে।
যা প্রথমবার বিবেকযুক্ত মানুষকে নির্দেশ করে। কিভাবে সেই বিবেক দ্বারা মানুষ প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে মর্যাদা,এবং সমাজের বিভিন্ন নিয়ম তৈরি করে,সমাজবদ্ধ হতে শিখল- তা নির্দেশ করে।
"স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ"।
একাধারে রাজনেতা,কূটনীতি
"মহাত্মা বুদ্ধ" হলেন নবম অবতার। যিনি সেই নৃসিংহ থেকে উদ্ভূত মানবজাতির স্বভাব-প্রকৃতির
তিনিই মানবজাতিকে জ্ঞানের অন্তিম লক্ষের সন্ধান দিলেন।
দশম অবতার "কল্কি" রূপে আসবে।
যেই মানব বিবর্তনের উপর তোমরা কাজ করছ-
মানুষের বিবর্তন,উদবর্তন
হ্যাঁ,
বেদ,পুরাণ,গ্রন্
এই দর্শণের মধ্যেও রস খুঁজে পাবে। তাতে তুমি ধার্মিক হও বা
" বৈজ্ঞানিক "।।
Saturday, August 10, 2019
প্রশ্ন- সমূদ্র, পৃথিবী, চন্দ্র ইত্যাদির সৃষ্টি এবং পরিচালনা তো প্রকৃতি করে। সব কিছু প্রকৃতির দ্বারাই হয়। তাহলে ঈশ্বর কে সৃষ্টিকর্তা এবং নিয়ামক বলে কেন মানব ?
উত্তর- আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, প্রকৃতি জড়, না চেতন অর্থাৎ তাতে চৈতন্য আছে কি নেই? যদি আপনি প্রকৃতিকে জ্ঞান- চৈতন্যসম্পন্ন বলে মনে করেন, তাহলে তাকেই আমি ‘ঈশ্বর’ বলছি। আমাদের শাস্ত্ৰে শক্তিকেও ঈশ্বর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। অতএব আপনার এবং আমার মেনে নেওয়াতে মাত্র শব্দের প্রভেদ, আসল তত্ত্বে কোনাে ভেদ নেই। আর যদি মনে করেন প্রকৃতি জড় পদার্থ, তাহলে জড় প্রকৃতির দ্বারা জ্ঞানপূর্বক ক্রিয়া কখনও হওয়া সম্ভব নয়। প্রাণী সৃষ্টি, তাদের শুভাশুভ কর্মের ফল দেওয়া ইত্যাদি কর্ম জড় প্রকৃতির দ্বারা কখনও সম্ভব নয়। কারণ জ্ঞানপূর্বক ক্রিয়া ছাড়া জগতের প্রাণীদের সুচারুভাবে সঞ্চালন হতে পারে না। জড়প্রকৃতিতে পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তাতে জ্ঞানপূর্বক কৰ্ম সম্পাদনের শক্তি নেই। সেইজন্য ‘ভগবান’ আছেন তা মানতেই হবে।
এক পক্ষ বলছেন ঈশ্বর নেই’, দ্বিতীয় পক্ষ বলছেন ‘ঈশ্বর আছেন। যদি ‘ঈশ্বর নেই’ একথাই সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলেও আস্তিক এবং নাস্তিক দুই পক্ষই সমান ভাবে থাকবে অর্থাৎ যাঁরা ঈশ্বর মানেন তাঁদের কোন কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু যদি ‘ঈশ্বর আছেন- এই কথাই সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তবে যাঁরা ঈশ্বর মানেন তাঁদের ঈশ্বর প্রাপ্তি হবে এবং ঈশ্বরকে যাঁরা মানেন না তাঁরা রিক্ত থেকে যাবেন। সুতরাং ‘ঈশ্বর আছেন’ এরূপ স্বীকার করাই সকলের পক্ষে লাভজনক। কিন্তু শুধু ঈশ্বরকে মেনে সন্তুষ্ট হলেই চলবে না, তাকে লাভ করতে হবে; কারণ, তাঁকে পাবার সামর্থ্য সকল মানুষেরই আছে।
প্রাপ্তিযােগ্য কোন বস্তু থাকলে তবেই তার সম্বন্ধে বিধিনিষেধ বাক্য প্রযোজ্য হয়—‘প্রাপ্ত সত্যাং নিষেধঃ'। এ কথা কেউ বলা প্রয়ােজন মনে করে না যে, ‘ঘােড়ার ডিম হয় না। কারণ যা হতেই পারে না তার প্রসঙ্গে নিষেধ করাই অবাস্তব। তেমনি যদি ঈশ্বর নাই থাকেন তাহলে-‘ঈশ্বর নেই’-একথা বলার মানেই হয় না। সুতরাং ‘ঈশ্বর নেই’ বলাতেই প্রমাণিত হয় যে তিনি আছেন।
যে ব্যক্তি ইংরাজী ভাষার অস্তিত্ব মানেন, তিনিই তা শেখবার চেষ্টা করতে পারেন, পড়াশুনা করে ইংরাজী ভাষা আয়ত্ত করতে পারেন। কিন্তু যারা ইংরাজী ভাষার অস্তিত্বই স্বীকার করেন না, তারা তা শেখবার প্রয়াস কেন করবেন ? যেমন, কারাের যদি ইংরাজীতে ‘তার’ (টেলিগ্রাম) আসে, সে ইংরাজী জানা ব্যক্তির দ্বারা তার মর্মোদ্ধার করে জানতে পারে যে তার কেউ খুব অসুস্থ এবং সেস্থানে গিয়ে সত্যই সে যদি জানতে পারে লােকটি ঠিকই অসুস্থ ছিল তখন তাকে বিশ্বাস করতেই হয় যে তারটি যখন ইংরাজী ভাষাতে লেখা তখন ইংরাজী ভাষা যথ্যথই আছে। যে ব্যক্তি ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য সত্যি সত্যি আগ্রহী তাঁর সঙ্গে সাধারণ ব্যক্তির (যাঁরা ঈশ্বর লাভের জন্য সচেষ্ট নন) অনেক পার্থক্য দেখা যায়। তাঁর সঙ্গ করলে, কথা শুনলে মনে শান্তি পাওয়া যায়। শুধু মানুষের নয়, বস্তুতঃ পশুপক্ষী ইত্যাদিও তার কাছে পেলে শাস্তি পায়। যাঁর ঈশ্বরপ্রাপ্তি ঘটেছে তার মধ্যে অনেক বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়, যা কিনা সাধারণ মানুষের থাকে না। ঈশ্বর না থাকলে তাদের মধ্যে এই বিশেষ লক্ষণ কোথা থেকে আসে? সুতরাং মানতেই হবে যে ঈশ্বর আছেন।
মনুষ্যমাত্রই নিজের মধ্যে কিছু অপূর্ণতা, শূন্যতা অনুভব করে। এই অপূর্ণতাকে পূর্ণ করার যদি কোন কিছু না থাকত, তাহলে মানুষ এই অপূর্ণতা অনুভব করত না। যেমন মানুষের খিদে পেলে প্রমাণিত হয় যে খাবার বস্তু কিছু আছে। যদি খাদ্যবস্তু না থাকত, তাহলে মানুষের খিদে পেত না। পিপাসা পেলে প্রমাণিত হয় পানীয় বস্তু কিছু আছে, পানীয় না থাকলে মানুষ পিপাসা অনুভব করত না। সেভাবেই মানুষের অপূর্ণতা অনুভব হলে প্রমাণিত হয় যে, সেটি পূর্ণ করার মতে কোনকিছু আছে। যদি না পূর্ণত্ত্ব থাকত তাহলে মানুষ অপূর্ণতা অনুভব করত না। এই পূর্ণতত্ত্বকেই ঈশ্বর বলা হয়।
কোন বস্তু থাকলে সেটি পাবার ইচ্ছা হয়। যে বস্তু নেই, সেটি পাবার ইচ্ছাও হয় না। যেমন কারাে কখনও আকাশের ফল খেতে বা আকাশের ফুলের আঘ্রাণ নিতে ইচ্ছা করবে না; কারণ, আকাশে ফল বা ফুল হয় না। মানুষমাত্রেরই এই ইচ্ছা হয় যে ‘আমি যেন চিরঞ্জীবী হই (কখনও না মরি)’, ‘সমস্ত কিছুর জ্ঞান প্রাপ্ত হই (যেন অজ্ঞান না থাকি)', এবং 'সদা সুখী হই (কথনও দুঃখ যেন না পাই’)। আমি “চিরকাল জীবিত থাকি'– এই হল সৎ-এর ইচ্ছা, ‘সকল জ্ঞান প্রাপ্ত হই'- এ হচ্ছে ‘চিৎ'-এর ইচ্ছা, ‘সদা সুখে থাকি’-এই হচ্ছে ‘আনন্দের’ ইচ্ছা। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে সচ্চিদানন্দ-স্বরূপ বলে এমন কিছু আছে যা পাবার ইচ্ছা সকল মানুষের মধ্যেই আছে। এই তত্ত্বকেই ঈশ্বর বলা হয়।
কোনাে মানুষ যখন অন্য মানুষকে নিজের চেয়ে বড় বলে মেনে নেয়, তাতে আসলে সে ঈশ্বরবাদকেই স্বীকার করছে বােঝায়। কেননা এই বড় হওয়ার পরম্পরা যেখানে পৌছায়, সেটিকেই ঈশ্বর বলে। পূর্বের্ষামপি গুরুঃ কালেনানবচ্ছেদাৎ। (পাতঞ্জল যােগদর্শন ১/২৬)। কোন মানুষ থাকলেই তার একজন বাবাও থাকবেন এবং তাঁর বাবারও একজন বাবা থাকবেন। এই পরস্পরা যেখানে সমাপ্ত হয়, তারই নাম ঈশ্বর-‘পিতাসি লােকস্য চরাচরস্য’ (১১/৪৩) একজন বলশালী থাকলে বুঝতে হবে, তার চেয়েও একজন বেশী বলশালী আছেন। এই উত্তরের যেখানে গিয়ে সমাপ্ত হয়, তারই নাম ঈশ্বর, কেননা তাঁর তুল্য বলশালী কেউ নেই। কেউ বিদ্বান হলে, তার চেয়েও বেশী বিদ্বান আর কেউ থাকবেন। এই বিদ্যাবত্তার যেখানে সমাপ্তি তিনিই ঈশ্বর, কারণ তার সমান বিদ্বান কেউ নেই ‘গুরুৰ্গরীয়ান্’ (১১/৪৩)। এর তাৎপর্য হচ্ছে যে বল, বুদ্ধি, বিদ্যা, যােগ্যতা, ঐশ্বর্য, শােভা ইত্যাদি গুণগুলির যেটি শেষ সীমা, অর্থাৎ পূৰ্ণতা, তাকেই ঈশ্বর বলা হয়; কেননা তাঁর সমকক্ষ আর কেউ নেই,-‘ন ত্বৎসমােহস্তাভ্যধিকঃকুতোহন্যঃ (১১।৪৩)।
বস্তুতঃ ঈশ্বর মেনে নেবারই বিষয়, বিচার করবার বিষয় নয়। বিচার্য বিষয় সেটাই হতে পারে যাতে জিজ্ঞাসা থাকে এবং জিজ্ঞাসা সে বিষয়েই হতে পারে যার সম্বন্ধে আমাদের কিছুটা জানা আর কিছু অজানা। কিন্তু যাঁর সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না, তাঁর বিষয়ে জিজ্ঞাসা বা বিচার করা যায় না। তাঁকে আমরা মানি বা না মানি এ ব্যাপারে আমরা স্বতন্ত্র বা স্বাধীন। এই জগৎ-সংসার দৃষ্টিগােচর হলেও এর আসল তত্ত্ব কি তা আমরা জানি না; অতএব জগৎ-সংসার বিচার করে বােঝার বিষয়। তেমনি জীবাত্মা স্থাবর বা জঙ্গমরূপে শরীরধারীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে থাকেন। কিন্তু জীবাত্মা আসলে কি তা আমরা জানি না, অতএব জীবাত্মাও বিচার করে বােঝার বিষয়। কিন্তু ঈশ্বর সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না, সুতরাং ঈশ্বর বিচার বা তর্কের বিষয় নয়, বস্তুতঃ তিনি শ্রদ্ধা এবং মান্য করারই বিষয়। শাস্ত্রের দ্বারা অথবা তত্ত্বদৰ্শী বা ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছেন এমন সাধু ও মহাপুরুষের কাছে শুনেই ঈশ্বর আছেন বলে বিশ্বাস করা হয়। শাস্ত্র এবং সাধু দুই-ই বিশ্বাস করার বিষয়। যেমন বেদ ও পুরাণ ইত্যাদিতে হিন্দুদের বিশ্বাস আছে কিন্তু মুসলমানদের নেই, তেমনি সাধু মহাপুরুষদের ও কেউ মান্য করেন, কেউ করেন না; বস্তুতঃ তাদের সাধারণ মানুষ বলে মনে করেন।
#গীতা_দর্পণ
নিবেদনে- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা দর্পণ
কিছু মন্ত্র
১. ঘুমাবার আগে বলুন - ওঁ শয়নে শ্রী পদ্মনাভায় নম:।
২. জন্ম সংবাদ শুনলে বলুন -আয়ুষ্মান ভব।
৩. মৃত্যু সংবাদ শুনলে বলুন -দিব্যান লোকান্ স গচ্ছতু।
৪. খাবার আগে বলুন - ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:।
৫. বিপদে বলুন - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:।
৬. হিন্দু ধর্মীয় সকলকাজ শুরুর আগে বলুন - ওঁ তৎ সৎ।
৭. গৃহ প্রবেশ মন্ত্র - ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নম:।
৮. মাতৃ প্রনাম মন্ত্র -
ভূমেগরীয়সী মাতা স্বাগাৎ উচ্চতর পিতা জননী জন্মভূমিশ্চ স্বগাদগি গরিয়সী। গর্ভ ধারণ্যং পোষ্যভাং পিতুমাতা বিশ্বস্তে।সর্বদেব সরুপায় স্তন্মৈমাএ নমঃ নমঃ।।
৯. পিতৃ প্রনাম মন্ত্র -
পিতাস্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমংতপঃ। । পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতা নমঃ পিতৃ চরনেভ্য নমঃ।।
১০. শ্রীকৃষ্ণ প্রনাম মন্ত্র -
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে। গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে।।
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ।।
১১. শ্রীরাধারানী প্রণাম মন্ত্র -
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী। বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
১২. দেহ শুচীর মন্ত্র -
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবাং সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা। যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্। ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
১৩. গুরু প্রণাম মন্ত্র -
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া। চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর। গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
১৪. শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম মন্ত্র -
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্। ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্।।
১৫. সূর্য প্রণাম মন্ত্র -
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্।।
১৬. গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ। জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
১৭. তুলসী প্রণাম মন্ত্র -
ঔঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়াঐ কেশবস্য চঃ। কৃষ্ণভক্তিপদে দেবী সত্যবত্যৈ নমঃ নমঃ।।